প্রচ্ছদ

পোশাক খাতে দক্ষ কর্মী নেবে জর্ডান

নিজস্ব প্রতিবেদক, সুখবর ডটকম: দুই বছর স্থবির থাকার পর আবারও সচল জর্ডানের শ্রমবাজার। চলতি বছরের জুন নাগাদ ১০ হাজার বাংলাদেশি পোশাক কর্মীর কর্মসংস্থান হবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে। যার ৯০ ভাগই নারী। তৈরি পোশাক খাতে দক্ষ কর্মীরা বিনা খরচে সরকারিভাবে জর্ডান যেতে পারবেন।

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ জর্ডান। বাংলাদেশি নারী পোশাক কর্মীদের সবচেয়ে বড় শ্রমবাজার। করোনা মহামারি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার মুখে গত ২ বছর দেশটিতে বাংলাদেশি কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ধীরগতি নেমে আসে। তবে বর্তমানে আবারও গতিশীল হয়েছে শ্রমবাজারটি। প্রতি মাসে ৫০০ কর্মী পাড়ি জমাচ্ছেন দেশটিতে।

দেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় রিক্রুটমেন্ট এজেন্সি বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেডের (বোয়েসেল) তথ্য বলছে, ২০১০ সাল থেকে এ পর্যন্ত জর্ডানে ১ লাখ ৭ হাজার বাংলাদেশি পোশাক কর্মীর কর্মসংস্থান হয়েছে। যার ৯০ ভাগ নারী। চলতি বছরের জুন নাগাদ দেশটিতে ১০ হাজার কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ হয়েছে।

বোয়েসেলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মল্লিক আনোয়ার হোসেন বলেন, গামের্ন্টস সংক্রান্ত কাজে দক্ষরা ৩ বছরের জন্য দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ পায়। চলতি বছরের জুনের মধ্যে ১০ হাজার কর্মী পাঠানো হবে। এর আগে ৬ হাজার কর্মী গিয়েছে। খুব শিগগিরই বাকি কোটা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন তিনি।

আর শ্রমবাজার ধরে রাখতে সরকার আমলাতান্ত্রিক জটিলতা কমানো ও বিদেশে কর্মসংস্থানে ইচ্ছুক কর্মীদের সেন্ট্রাল ডাটাবেজ কার্যকর করার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন।

এদিকে মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দাদের সুবিধার জন্য ফেব্রুয়ারিতে জর্ডানে আবেদন প্রক্রিয়াটি অনলাইন করা হয়েছে।

কর্মসংস্থানে ইচ্ছুক ব্যক্তিরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সহজেই আবেদন করতে পারবেন। সরকারিভাবে যাওয়া এসব কর্মীর বাসস্থান ও খাবার খরচ বহন করবে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান।

এম/ আই. কে. জে /

আরো পড়ুন:

অটিজম: শুরুতে শনাক্ত হলে আক্রান্ত শিশুকে কর্মক্ষম করে তোলা সম্ভব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *