নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টেকসই ফ্যাশন গতি পেয়েছে এবং ভোক্তাদের বর্ধিত বিবেক বিশ্বজুড়ে পোশাক শিল্প পরিচালনা পদ্ধতি পরিবর্তন ঘটেছে।
পোশাক খাতের টেকসই রূপান্তরকে কিভাবে সমর্থন করা যায় সে বিষয়ে সংলাপকে উৎসাহিত করতে এইচএসবিসি বাংলাদেশ মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) ‘পোশাক খাতের জন্য একটি বৃত্তাকার অর্থনীতির দিকে রূপান্তর’ বিষয়ে টেকসই সিরিজের প্রথম ওয়েবিনার আয়োজন করে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এতে কিভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো টেকসই সরবরাহ শৃঙ্খলের চাহিদার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে এবং কোভিড-১৯ পরবর্তী যুগেও টেকসই ফ্যাশনের দিকে পরিবর্তন ত্বরান্বিত করতে বাংলাদেশের পোশাক শিল্প কী করতে পারে সে বিষয় আলোচনা হয়।
ওয়েবিনারে ১০০ টিরও বেশি টেক্সটাইল এবং পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠান এইচএসবিসি’র গ্রাহক এবং এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জ্যেষ্ঠ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বৃত্তাকার ফ্যাশন শিল্প একটি দ্রুত ক্রমবর্ধমান আন্দোলন, যা সব উপকরণ পুনরায় ব্যবহার এবং বর্জ্য ও দূষণ দূর করে পরিবেশকে একটি ‘বৃত্তাকার মডেল’ পুনর্জীবিত করে।
শিল্পটি কিভাবে কাজ করে তার মৌলিক বিষয়গুলোর এই পুনর্বিবেচনা টেকসই ফ্যাশন ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আকর্ষণ অর্জন করছে। এই প্রবণতাগুলো খুচরা ল্যান্ডস্কেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং ব্যবহারের জনসংখ্যায় বড় পরিবর্তন আসছে।
অনুষ্ঠানে এইচএসবিসি বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাহবুব উর রহমান বলেন, একটি দায়িত্বশীল বৈশ্বিক ব্যাংক হিসেবে এইচএসবিসি ২০৫০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী নেট-জিরো অর্থনীতিতে রূপান্তরে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। টেকসই ফ্যাশন নিশ্চিত করা এবং একটি বৃত্তাকার অর্থনীতিকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে আমরা নেট-জিরো কার্বন নির্গমনের রূপান্তরের নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য অর্থ সংগ্রহ এবং উদ্ভাবন ত্বরান্বিত করার ক্ষেত্রে আমাদের গ্রাহক, শিল্প পরিচালনাকারী এবং মূল অংশিজনদের সঙ্গে অংশীদারিত্বে আগ্রহী।
অনুষ্ঠানে কন্টুর ব্র্যান্ডের দক্ষিণ এশিয়ার প্রোডাক্ট সাপ্লাই চেইনের পরিচালক জিহানপালিহেনা বলেন, মানুষের মধ্যে বিনিয়োগ, প্রতিভা ও দক্ষতা বিকাশ এবং তথ্য ও গতির মূল্য বোঝা সবই বাজারে নেতা হওয়ার মূল চাবিকাঠি।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের হোলসেল ব্যাংকিং বিভাগের কান্ট্রি হেড কেভিন গ্রিন আরও বলেন, মহামারী পরবর্তী যুগে টেক্সটাইল ও গার্মেন্টস খাত শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং পুনরায় ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বৃত্তাকার মডেলে রূপান্তর, স্থায়িত্বের দিকে সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। যেহেতু আরও ব্যবসা নেট জিরো অর্জনের পরিকল্পনা করছে এবং তাদের গ্রাহকরা ক্রমবর্ধমান ভাবে টেকসইয়ের পক্ষে হয়ে উঠছে, তাই শিল্পের ভবিষ্যৎ উন্নতির সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
আরো পড়ুন:
ই-কমার্স: নতুন আইনের প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ে সাব-কমিটি গঠন