রেকর্ডটা ভেঙে যেতে পারে, এমন একটা আভাস মিলছিল প্রথমার্ধেই। প্রথম গোলে ছুঁয়ে দিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলেকে। সেটা ছাড়িয়ে যেতেও খুব একটা সময় নিলেন না লিওনেল মেসি। দ্বিতীয়ার্ধের গোলেই শেষ হলো অপেক্ষাটা।
ম্যাচের বয়স তখন ৬৪ মিনিট। ধীরলয়ের পাসিংয়ে আক্রমণে উঠে এসেছিল আলবিসেলেস্তেরা। লাওতারোর বাড়ানো বল বলিভিয়া ডিফেন্ডারের পা ছুঁয়ে আসে মেসির কাছে। প্রথম চেষ্টায় তাকে রুখে দিয়েছিলেন বলিভিয়া গোলরক্ষক কার্লোস লাম্পে। তবে দ্বিতীয় চেষ্টায় আর পারলেন না। দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় আর্জেন্টিনা। তাতে রেকর্ড এসে লুটিয়ে পড়ে মেসির পায়ে।
এই ম্যাচের প্রথম গোলে তিন ম্যাচের গোলখরা কেটেছিল মেসির। সেটাও কি দুর্দান্তভাবেই না করেছিলেন তিনি, বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শটে বলিভিয়া গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বলটা জড়িয়েছিলেন জালে। সেটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ৭৭তম গোল। সে গোলেই ছুঁয়ে ফেলেছিলেন পেলেকে। এবার তাকে ছাড়িয়েই গেলেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
১৯৭১ সালে ৭৭ গোল নিয়ে অবসরে গিয়েছিলেন পেলে। দক্ষিণ আমেরিকার সর্বোচ্চ গোলদাতা তকমাটাও একান্ত নিজের ছিল তার। ৫০ বছর পর তার সেই রেকর্ডে প্রথমার্ধে ভাগ বসান মেসি, দ্বিতীয়ার্ধে ছাড়িয়েই গেলেন সেটা। দক্ষিণ আমেরিকার গোলদাতাদের তালিকায় এখন থেকে শীর্ষেই থাকবে ছয়বারের ব্যালন ডি’অর বিজয়ীর নাম।
/জেড এইচ