কৃষি-মৎস্য

পেয়ারা চাষে সফলতা পেলেন খাগড়াছড়ির কিরণ চাকমা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: খাগড়াছড়ির মাটি ও আবহাওয়া কৃষি কাজের জন্য অনেকটা উপযোগী। পাহাড়ের অনেক উঁচু-নিচু জায়গায় এখন সব ধরনের ফলস জন্মে। খাগড়াছড়িতে এখন উন্নত জাতের আম, লিচু, মাল্টা, পেপে, আনারস, ড্রাগন, লটকনসহ বিভিন্ন জাতের ফলের বাগান থাকলে শুধুমাত্র পেয়ারা বাগান করলেন চাষি কিরণ চাকমা। সফলতাও পেয়েছেন।

গেল বছরের শুরুতে তিনি চুয়াডাঙ্গা থেকে টাই ফাইভ জাতের পেয়ারা চারা এনে ৪০ শতক জায়গায় ৩শ ৪০টি চারা রোপণ করেন। রোপণের ৬ মাস পর থেকে ফলন পাওয়া শুরু হয়। তিনি এখনও পেয়ারা বিক্রি করছেন।

মূলত চুয়াডাঙ্গা ঘুরতে গিয়ে পেয়ারা বাগান দেখে উৎসাহিত হন এবং তার পেয়ারা বাগান করার প্রতি আগ্রহ জাগে। শুধু তাই নয়, তিনি চুয়াডাঙ্গা থেকে ২শটি টাই ফাইভ জাতের পেয়ারা চারা নিয়ে আসেন। পরে নিজে চারা কলম করে ৪০ শতক জায়গায় ৩৪০টি চারা রোপণ করেন। কিরণ চাকমা বলেন, আগ্রহ থেকে পেয়ারা চাষে নেমেছি। এটি খুব লাভজনক এবং কম সময়ের মধ্যে ফলও পাওয়া যায়। গেল বছর বাগান থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার পেয়ারা বিক্রি করেছি। এবারে করোনার কারণে প্রত্যাশিত বিক্রি না করতে পারলেও লাভের মুখ দেখবেন বলেও জানান তিনি।

এদিকে ৫০ থেকে ৭০ টাকা করে তিনি পেয়ারা চারাও বিক্রি করছেন বলেও জানান। স্থানীয় বাসিন্দা আর্য্য মনি চাকমা বলেন, প্রথমে পেয়ারা বাগান করতে দেখে অনুৎসাহিত করেছিলাম। পেঁপে, আম, মাল্টাসহ অন্যান্য ফল লাগাতে বলি। কারণ একক পেয়ারের বাগানে কতটুকু লাভ করতে পারবে তা নিয়ে ভাবনা ছিল। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে পেয়ারা বাগান করে যথেষ্ট লাভবান হয়েছেন। তিনি যুবকদের উদ্দেশ্যে বলেন চাকরির পেছনে না ছুটে বাগান করার প্রতি পরামর্শ দেন।

অপর বাসিন্দা অংক্যমং মারমা বলেন, এমনিতে পাহাড়ের মাটি অনেক উর্বর। এখানে যেকোনো ফলন ভালো চাষ হয়। টাই ফাইফ জাতের পেয়ারা মিষ্টতা খুব বেশি। এটি সমতলের পেয়ারার চেয়ে অনেক সুস্বাদু। খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণাকেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুন্সী রাশেদ আহমদ বলেন, পেয়ারা চাষের প্রতি স্থানীয়দের আগ্রহ বাড়ছে। এটি ভালো দিক। আমরা চাই সব ধরনের ফল চাষে সমৃদ্ধ হোক খাগড়াছড়ি। অন্যান্য ফলের মত পেয়ারার বাণিজ্যিক সম্ভাবনা আছে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *