নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: দেশের পার্বত্য অঞ্চলসহ বেশ কিছু স্থানে কাজু বাদাম উৎপন্ন হলেও প্রক্রিয়াজাতের সুযোগ না থাকায় কম দামে রপ্তানি হয়ে যায়। পরে প্রক্রিয়াজাত হয়ে সেই বাদাম বেশি দামে ফিরে আসে দেশে। এমন প্রেক্ষাপটে নীলফামারীতে কাজু বাদাম প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে দুটি কারখানায়।
এদিকে, কাজু বাদামের চাষ বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরা কাজু বাদাম। আদি নিবাস দক্ষিণ আমেরিকার ব্রাজিল। এখন উত্তর আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপের নানা দেশে কাজু বাদাম উৎপন্ন হয়। বাংলাদেশের পার্বত্য এলাকায়ও কাজু বাদামের উৎপাদন আছে।
নীলফামারীতে কাজু বাদাম প্রক্রিয়াজাত করছে দুটি প্রতিষ্ঠান। পাহাড় থেকে সংগৃহিত কাঁচা কাজু বাদাম কয়েকটি ধাপে প্রক্রিয়াজাত করছে তারা। কারখানা দুটোতে বাদাম প্রক্রিয়াজাত করার পাশাপাশি অন্যান্য পণ্যও উৎপাদন হচ্ছে।
নীলফামারীর জ্যাকপট ক্যাসুনাট ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক (উৎপাদন) রবিউল ইসলাম বলেন, মাঠ পর্যায়ের কৃষকদের কাছ থেকে বাদাম সংগ্রহ করি, সংগ্রহ করার পরে রোদে বাদামটা শুকিয়ে নেই। ফিনিসড গুড আসলে তারপর আমরা প্যাকেটজাত করে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করে থাকি।
জ্যাকপট ক্যাসুনাট ইন্ডাস্ট্রিজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইবনুল আরিফুজ্জামান বলেন, র-ম্যাটারিয়ালসের ডিউটি কমানো এবং ফিনিসড গুডের ডিউটি বাড়াতে হবে। র-ম্যাটারিয়ালসের ডিউটি হচ্ছে ৬১%। আমরা যদি ইন্টারন্যাশনাল মার্কেটের সঙ্গে কম্পিটিশনে যেতে চাই, সেই জায়গাটাতে আমাদের একশত ভাগ ওদের প্রাইজে আসতে হবে।
উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বাড়লে আমদানি নির্ভরতা কমার পাশাপাশি বাড়বে কর্মসংস্থান।
নীলফামারী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ওবায়দুর রহমান মণ্ডল বলেন, বসতভিটায় ৫-১০টা করে এই কেসু নাটের চারা লাগিয়ে দিলে হয়তো আমাদের জেলায় ৫০ লাখ থেকে ১ লাখ চারা লাগানো সম্ভব। সেই উদ্যোগ আমরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নিয়েছি।
এদিকে কাজু বাদামের চাষ ও প্রক্রিয়াজাতকরণে প্রকল্প নিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কৃষি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আব্দুল মুইদ বলেন, আমরা পাহাড়ী এলাকায় কাজু বাদামের কলম, চারা এবং কাজু বাদামে সমৃদ্ধ দেশ ভারত ও ভিয়েতনাম থেকে কাজু বাদামের জামপ্লাজম জাত নিয়ে এসে আমরা রোপণ করছি।
কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন সরকারের নীতি সহায়তায় কাজু বাদাম হতে পারে দেশের অন্যতম প্রধান কৃষিপণ্য।