মাতৃভূমি

পায়রা সেতু ২৪ অক্টোবর উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: আগামী ২৪ অক্টোবর বরিশাল-পটুয়াখালী সড়কের ২৬তম কিলোমিটারে লেবুখালীর পায়রা নদীর উপর নির্মিত পায়রা সেতু উদ্বোধন করা হবে। ওইদিন সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে দক্ষিণের মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত এই সেতুর উদ্বোধন করবেন।

সোমবার রাতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন পায়রা সেতু প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) মো. আবদুল হালিম।

এই সেতু উদ্বোধন হলে কাঁঠালবাড়ি ঘাট থেকে দেশের সর্ব দক্ষিণের কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ চালু হবে এবং এতে মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে জানান বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল।

কুয়েত ফান্ড ফর আরব ইকোনমিক ডেভলপমেন্ট (কেএফএইডি) এবং ওপেক ফান্ড ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভলপমেন্টের (ওএফআইডি) যৌথ অর্থায়নে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়কের ২৬তম কিলোমিটারে লেবুখালী পয়েন্টে পায়রা নদীর উপর সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের ২৪ জুলাই। ১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে এক্সট্রা ডোজ ক্যাবল স্ট্রেট নকশায় নির্মিত সেতুর দৈর্ঘ্য ১ হাজার ৪৭০ মিটার এবং প্রস্থ ১৯.৭৬ মিটার। নদীর উভয়প্রান্তে এপ্রোচ সড়ক রয়েছে ১ হাজার ২৬৮ মিটার।

চীনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান লং জিয়ান রোড এন্ড ব্রিজ কোম্পানী লিমিটেড সেতুটি নির্মাণ করে। পায়রা সেতুর নান্দনিকতা ইতোমধ্যে দৃষ্টি কেড়েছে পর্যটকদের। দিনে এবং রাতের পায়রা সেতুর নৈসর্গিক দৃশ্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভীড় করছেন অনেক পর্যটক। নির্মাণ সম্পন্ন হলেও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সবুজ সংকেত না পাওয়ায় সেতুটি যানবাহন চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করতে পারছিল না সেতু কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সোমবার সেতুটি উদ্বোধনের জন্য আগামী ২৪ অক্টোবর দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে সরকার।

পায়রা সেতু প্রকল্পের পরিচালক মো. আবদুল হালিম জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী ভার্চুয়ালি পায়রা সেতু উদ্বোধন ঘোষণা করবেন। এ লক্ষ্যে প্রস্তুতি শুরু করেছেন তারা। উদ্বোধনের পরপরই সেতুটি যানবাহনের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।

বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মো. সাইফুল হাসান বাদল জানান, ২৪ অক্টোবর বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলবাসীর জন্য একটি ঐতিহাসিক এবং স্মরণীয় দিন হবে। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের বহুল প্রতীক্ষিত পায়রা সেতুর উদ্বোধন করবেন। এই সেতু উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে মাওয়া-কাঁঠালবাড়ি থেকে সর্ব দক্ষিণের কুয়াকাটা পর্যন্ত ফেরিবিহীন সড়ক যোগাযোগ চালু হবে। এতে এই অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তড়ান্বিত হবে।

আরো পড়ুন:

‘শেখ রাসেল স্বর্ণ পদক’ বিতরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *