৯০ টাকার আশপাশে আর প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হয়েছে মোড়কের দামেই। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে উৎপাদিত বাজারের সুপরিচিত একটি ব্র্যান্ডের চিনির প্যাকেটের গায়ের দাম দেখা গেছে ৯৫ টাকা। এই দামেই প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হয়েছে।
সরকারিভাবে দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার আগে থেকেই খোলা ও প্যাকেটজাত উভয় চিনির দাম এমনই ছিল। অর্থাৎ সরকারনির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি কেজি খোলা ও প্যাকেটজাত চিনি ৬ টাকা বেশি দিয়ে কিনছেন ক্রেতারা।
মেঘনা গ্রুপের জ্যেষ্ঠ মহাব্যবস্থাপক এস এম মুজিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘নতুন দামে পণ্য নিয়ে আসতে গেলে কয়েক ধাপে সরবরাহব্যবস্থায় কাজ করতে হয়। তাতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যায়।’
এদিকে বাজারে খোলা পাম সুপার তেলের দাম সরকারের বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কমে বিক্রি হতে দেখা গেছে। খুচরায় গতকাল প্রতি লিটার খোলা পাম সুপার তেল বিক্রি হয়েছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। পাম তেলের সরকারনির্ধারিত মূল্য প্রতি লিটার ১৩৩ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন
আগে থেকেই খুচরা বাজারে তেল সরকারিভাবে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে কমে বিক্রি হচ্ছিল।
ব্যবসায়ীদের ধারণা, সরকার যখন খোলা পাম তেলের দাম বেঁধে দিতে বাজার যাচাই করেছিল, তখন দাম কিছুটা বাড়তি ছিল। এখন পাম তেলের দাম কমে এসেছে। এতে এই সমন্বয়হীনতা দেখা দিয়েছে। যেহেতু আগে থেকেই পাম তেল কম দামে বিক্রি হয়ে আসছে, এখন সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে বিক্রি করতে চাইলে ক্রেতারা তা মানবেন না।
এদিকে খুচরা পর্যায়ে চিনির দাম নির্ধারণের ঘোষণায় চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে খোলা চিনির দাম কমেছে। গত এক সপ্তাহে পাইকারি এই বাজারে চিনির দাম কেজিপ্রতি আড়াই টাকা কমেছে। গতকাল রোববার প্রতি কেজি চিনি ৮৩ টাকায় বিক্রি হয়েছে।