পানি দূষণ রোধে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে, এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কী, তা আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে জানাবে ওয়াসা। একই দিন এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আদালত জানিয়েছেন।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ দিন ঠিক করে দেন। এ বিষয়ে রিটকারী আইনজীবী তানভীর আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরে আজ শুনানির জন্য মামলাটি তালিকায় আসে। এরপর আদালতে বলেছি, দুই বছর ধরে তারা কী করেছে, পানি দূষণ রোধে ওয়াসা কী ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে-নিচ্ছে এবং তাদের ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা কী—এসব বিষয় উপস্থাপনের পর ওয়াসা জানিয়েছে, তারা আগামী ২ নভেম্বরের মধ্যে বিষয়গুলো আদালতকে জানাবে।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২০১৮ সালের ৬ নভেম্বর হাইকোর্ট ঢাকা ওয়াসার পানি পরীক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করার আদেশ দেন।
২০১৯ সালের ১৮ এপ্রিল স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের কমিটি গঠন করে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। কমিটির সদস্যেরা হলেন—আইসিডিডিআর,বির জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী মনিরুল আলম, বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান সাবিতা রিজওয়ানা রহমান।
পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন ২০১৯ সালের ৭ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সেই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের ৩৪টি নমুনার মধ্যে আটটি পানির নমুনায় ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।
ওইসময় ওয়াসার আইনজীবী ব্যারিস্টার এএম মাসুম বলেছিলেন, ‘সমন্বিত প্রতিবেদন আসার পর সেখানে জোন-১ ও জোন-৪-এ—একটি মিরপুরে, অপরটি পুরান ঢাকার পাতলা খান লেনে—পাওয়া ব্যাকটেরিয়া মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর বলে উল্লেখ করেছেন। সে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া হলো—ফেকেল ও ই-কোলাই। ওই প্রতিবেদনের সুপারিশ অনুসারে আমরা ওয়ান বাই ওয়ান কারেক্টিফিকেশনে গিয়েছি।’
/জেড এইচ