সর্বশেষ

পাথরঘাটায় বৃষ্টি ও জোয়ারে ২৫টি গ্রাম প্লাবিত ৪ হাজার পরিবার পানিবন্দী

তবে চরদুয়ানী ইউপির ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য জাহানারা জানু আজ বিকেলে প্রথম আলোকে বলেন, চরদুয়ানী ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হচ্ছে দক্ষিণ চরদুয়ানী গ্রাম। ওই গ্রামের অনেক বাড়িঘরে পানি উঠেছে। রান্নাঘর ডুবে গেছে। এ অবস্থায় মানুষ রান্নাবান্না করতে পারছে না।

এ ব্যাপারে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুফল চন্দ্র গোলদার প্রথম আলো বলেন, সাগরমোহনা, বিষখালী নদী ও বলেশ্বর নদ-সংলগ্ন গ্রামের পানিবন্দী লোকজনের খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের দ্রুত পানিবন্দী মানুষের পাশে দাঁড়াতে বলা হয়েছে। বরগুনা জেলা প্রশাসক দুই টন চাল বরাদ্দ করেছেন। খোঁজখবর নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের মধ্যে এ চাল বিতরণ করা হবে।

দুই দিন ধরে জেলে নিখোঁজ

এদিকে সাগরমোহনায় মাছ ধরতে গিয়ে পাথরঘাটার মোশারফ শরীফ (৩৫) এক জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। মোশারফ শরীফ পাথরঘাটার তাফালবাড়িয়া গ্রামের শহীদ শরীফের ছেলে। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ১১ সেপ্টেম্বর রাতে মোশারফ শরীফ ও ৫ জন জেলে ট্রলার নিয়ে বলেশ্বর নদ-সংলগ্ন সাগরমোহনার পক্ষীদিয়ায় মাছ ধরতে যান। তবে ওই দিন রাতে ঢেউয়ের তোড়ে ট্রলার থেকে ছিটকে পড়েন মোশারফ শরীফ। পরে ওই ট্রলারে থাকা অপর পাঁচ জেলে নিরাপদে এলাকায় ফিরেছেন। তবে আজ মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত মোশারফ শরীফের কোনো সন্ধান মেলেনি।

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট মমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া দেখে তিন দিন আগে সাগর ও নদ-নদী এলাকা থেকে জেলেদের ফিরে আসতে মাইকিং করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে মোশারফ শরীফ নামে এক জেলে ট্রলার থেকে ছিটকে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন। তাঁকে উদ্ধারের জন্য পশ্চিম জোনের কোস্টগার্ডের সদস্যরা কাজ করছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *