গল্প, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায়
সাজ্জাদ শাহরিয়ার হোসেন
মেয়ের বিয়ের শপিং করে চেয়ারম্যান সাহেব (বাবা) তাঁর মেয়েকে (আঁখি) নিয়ে গ্রামের পথ দিয়ে বাড়ী ফিরছিল। পথের মধ্যেছিনতাইকারী তাদের সমস্থ শপিং ছিনতাই করে মটরসাইকেল দিয়ে চলে যায়। গল্পের নায়ক (সাজ্জাদ) হিরোর মতছিনতাইকারীদের হাত থেকে শপিং এর মালামাল উদ্ধার করে চেয়ারম্যান সাহেব ও তাঁর মেয়েকে ফেরত দেয়। আঁখি,সাজ্জাদকে বিয়ের আয়োজনে আমন্ত্রন জানায়। নায়ক (সাজ্জাদ) উপস্থিত হওয়ার আগে, আসল বরকে বেঁধে রেখে ধোলাই করেএবং অনেক নাটকিয়তার পর নায়কের সাথে আঁখি বিয়ে হয়। বাসর ঘরে বর ও স্ত্রী রোমাঞ্চকর আলাপন এবং গান করে।
বিয়ের পর প্রথম দিন সকালে ব্রেক ফাষ্ট টেবিলে এসে বসে চেয়ারম্যান সাহেব (আঁখির বাবা)। সকালের নাস্তার জন্য সাজ্জাদ ওআঁখিকে ডাকে। এবং খাবার টেবিলে কথা-বার্তা ও আলাপন আলোচনা চলে। আঁখি রাতের বেলায় ব্যাগ গুচাচ্ছে, সকালে শশুর বাড়ী যাওয়ার জন্য। সাজ্জাদ তার বাবার বাড়ীতে নিতে অসম্মতী জানায় এবং সাজ্জাদ ও আঁখির মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। চেয়ারম্যান (আখির বাবা) কথা কাটাকাটি শোনে আঁখির ঘরে প্রবেশ করে।
চেয়ারম্যান সাহেব বাড়ীর ম্যানেজারকে নিয়ে জমিজমার আয়-ব্যায় হিসাব ও কর্মচারি দিয়ে জমি চাষ-বাস পরিচালনার খোঁজ খবর নেন। চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে সাজ্জাদ দেখা করে, চেয়ারম্যান সাহেব ব্যাবসা বানিজ্য পরিচালনার দায়িত্ব কৌশলে বুজে নেয়। দুপুর বেলা চেয়ারম্যান সাহেব বাড়ীর আঙ্গিনারসামনে বিশ্রাম নিচ্ছেন। এমন সময় হঠাৎ দেখে বাড়ীতে বড় মেয়ে ও মেয়ের জামাই রেগে-মেগে চেয়ারম্যান সাহেব এর সামনে আসে।
বাড়ীতে চেঁচামেচি শুনে সাজ্জাদ ঘর থেকে বের হয়ে আসে, তাঁর সাথে আঁখি বড় দুলাভাইয়ের মাথা গরম দেখে রান্ন্ ঘর থেকে হাতে করে চা নিয়ে আসে। চা না খেয়ে দুলাভাই ও বড় বোন ঘরে প্রবেশ করে। সাজ্জাদ ও আঁখি ঘরে আসে। সাজ্জাদ ঘরের মধ্যে পায়চারি করতে থাকে। সাজ্জাদ ও আঁখি দুইজন মিলে বুদ্ধি করে কিভাবে বড় দুলাভাইকে সম্পত্তি না দিয়ে বাড়ী থেকে তাড়ানো যায়। দুলাভাই ও বড় বোন খাটে গভীর ঘুমের অবস্থায় থাকবে।
ভূত সেজে সাজ্জাদ ও আঁখি জানালার ভিতর, বাহির থেকে লাঠি দিয়ে দুলাভাই কে গুতা দেয় এবং ঘরে পবেশ করে দুলাভাইকে মারধোর করে চলে আসে। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে কান্নাকাটি করে ছোট মেয়ে ও মেয়ের জামাইকে ডেকে চেয়ারম্যান বলে তার আলমারী থেকে ২ লাখ টাকা চুরি হয়ে গেছে। পরে চেয়ারম্যান মাথা ঠান্ডা করার জন্য বাড়ির ভিতরে চলে যায়।
সাজ্জাদ ফোনে ২ লাখ টাকার খবর নেয়। চেয়ারম্যান মন খারাপ করে রূমে শুয়ে আছে। চেয়ারম্যান এর মন ভালো করার জন্য সাজ্জাদ ২ লাখ টাকার চেক দিতে চায় কিন্তুু চেয়ারম্যান নিতে অস্বকৃতী জানায়। এমন সময় আঁখি ঘরে প্রবেশ করে। তাই আঁখির চোখ ফাঁিক দিয়ে সাজ্জাদ মিথ্যা কথা বলে সুকৌশলে চেয়ারম্যানকে দিয়ে একটি ফাইল সই করে নেয়।
বাড়ীর সামনে উঠানে চেয়ারম্যান আরামকরে কাত হয়ে বসে আছে আর সাজ্জাদ চেয়ারম্যান এর মাথা টিপে দিচ্ছে। এমন সময় দুলাভাই লোকজন নিয়ে উপস্থিত হয়। দুলাভাই চেয়ারম্যান সাহেব এর কাছে ছোট জামাইয়ের নামে নালিশ দিচ্ছে।
দুলাভাই এর নালিশ শুনে আঁখি ঘর থেকে বাহিরে আসে। সাজ্জাদ ও আঁখির মুখা-মুখি বসে আছে। আঁখি ঘরে বসে চিন্ত করে, এখন থেকে স¦ামীর সাথে বস্তিতে গিয়ে থাকতে হবে মনে করে কান্না-কাটি শুরূ করে।
সাজ্জাদ আঁখিকে স্বান্তনা দেয়। দুলাভাই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে পলাতক বরের সাথে দেখা। দুলাভাই রাগে বরের কলার ধরে, পরে নিজের ভুল বুজতে পারে বরের কোন দোষ ছিল না। বরকে নিয়ে চেয়ারম্যান এরে বাড়ীতে যায়। বর ও দুলাভাই মিলে চেয়ারম্যান সাহেব এর কাছে সব ঘটনা খুলে বলে। চেয়ারম্যান সাহেব রেগে গিয়ে সাজ্জাদ ও আঁখি কে ডাকে।
চেয়ারম্যান পলাতক বর ও দুলাভাই কে চলে যতে বলে। চেয়ারম্যান ও আঁখি সাজ্জাদকে বাসা চলে যেতে বলে। সাজ্জাদ অতিতের সব ঘটনা চেয়ারম্যানকে খুলে বলে। চেয়ারম্যান এতে অপমানিত হয়। এরপর সাজ্জাদের বাবা এসে উপস্তিত হয়। সজ্জিাদ ও সাজ্জাদের বাবা চেয়ারম্যানকে ক্ষমা করে দেয়। আর সবাই মিলে সুখে শান্তিতে বসবাস করে।