ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: পাকিস্তানের করাচি প্রেস ক্লাব থেকে সিন্ধু এসেম্বলি ভবন পর্যন্ত র‍্যালির আয়োজন করে দলিত সম্প্রদায়। গত বৃহস্পতিবার এ র‍্যালিতে তারা জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করা, থার এক্সপ্রেস বন্ধ করা ইত্যাদি নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেন।

পাকিস্তান দারাওয়ার ইত্তেহাদের ব্যানারে দলিত সম্প্রদায়ের শত শত  মানুষ এ র‍্যালিতে উপস্থিত হন। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্তর্গত কোলহি, ভেল, মেঘওয়ার, ওদ, বাগরি সম্প্রদায়ের নারী-শিশুরা প্রাদেশিক আইনসভার বাইরে অবস্থান নেন।

এসময় বিক্ষোভকারীরা “সংখ্যালঘু মেয়েদেরকে কেন মৌলবাদীদের যৌনদাসী হিসেবে দেখা হয়”, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে কেউ নেই”, “আমাদের সুরক্ষা চাই” ইত্যাদি স্লোগান সম্বলিত ব্যানার হাতে নিয়ে দাঁড়ান।

এ র‍্যালির নেতৃত্বে ছিলেন শিব কচ্চি, নরেন দাস জয়পাল, সর্দার খেমচাঁদ ভীল, নির্মল কুমার মেঘওয়ার, পারখো মাল ভীল, ডা. আমরেশি কচ্চি, মানসঙ্ঘ ঠাকুর, নরেন দাস লাখানি, মোলচাঁদ পারমার, ভীমর লাল করনানি প্রমুখ।

তারা জানান, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত করার বিষয়টি সিন্ধুতে একটি গুরুতর সমস্যা হয়ে উঠেছে। গত আট বছর ধরে সিন্ধু পরিষদে এ বিষয়ক খসড়া আইন আটকে আছে।

তারা আরো জানান যে, অপ্রাপ্তবয়স্ক হিন্দু মেয়েদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার বিষয়টিকে পাকিস্তান সরকার এবং অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো গুরুত্ব সহকারে দেখছে না এবং এ অন্যায় রুখতে তারা আজ পর্যন্ত কোনও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করে নি।

হিন্দু মেয়েদেরকে অপহরণ পূর্বক ধর্মান্তরিত করাসহ তাদের অন্যান্য দাবি পূরণ করা না হলে তারা মুখ্যমন্ত্রী ও বিলাওয়াল বাসভবনের বাইরে অবস্থান নিতে বাধ্য হবেন বলেও হুশিয়ারি দেন।

র‍্যালিতে বিক্ষোভকারীরা ১৫ দফা দাবি পেশ করেন। এতে দাবি করা হয় যে হিন্দু মেয়েদেরকে অপহরণ করে, জোরপূর্বক ধর্মান্তরিত হতে বাধ্য করে বিয়ে করার যে প্রক্রিয়া চালু হয়েছে তা বন্ধ করতে অতিসত্বর একটি আইন প্রণয়ন করতে হবে।

বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ আইন কার্যকর করার ব্যাপারেও জোর দেন তারা। সেই সাথে তারা দাবি জানান যে সিনেট, প্রাদেশিক পরিষদ এবং জাতীয় পরিষদে হিন্দু দলিত সম্প্রদায়দের যেন প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ দেওয়া হয়।

থার এক্সপ্রেস পুনরায় চালু করারও দাবি জানান তারা যেন হিন্দুরা নির্বিঘ্নে তীর্থযাত্রায় যেতে পারেন। তফসিলি জাতি (দলিত সম্প্রদায়) কোটা চালুর কথাও উল্লেখ করেন তারা।

তাদের অপর একটি দাবি হলো হিন্দুদের জমি, মন্দির এবং অন্যান্য জায়গার অবৈধ দখলের অবসান।

বিক্ষোভকারীরা চলমান ডিজিটাল আদমশুমারি নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, তফসিলি জাতির দরিদ্র হিন্দুদেরকে সঠিকভাবে গণনা করা হচ্ছে না।

এমএইচডি/ আই. কে. জে/

আরো পড়ুন:

হাতকড়া পড়ে আদালতে হাজির হবেন না ট্রাম্প : আইনজীবী

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *