কৃষি-মৎস্য

পাইকারিতে কমেছে চালের দাম

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: বোরো ফসল আর আমদানির কারণে পাইকারি বাজারে চালের দাম গত এক মাসে কেজিতে দুই থেকে চার টাকা পর্যন্ত কমেছে। তবে খুচরায় এর প্রভাব কম। শুক্রবার ঢাকার কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশি বিআর আটাশ চাল ৫০ কেজির বস্তা ২ হাজার ১০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে, একমাস আগে যার দাম ছিল ২ হাজার ৩০০ টাকা। আগের তুলনায় এই চালের দাম কেজিতে কমেছে ৪ টাকা। একমাস আগে সরু চালের ৫০ কেজির বস্তার দাম ছিল ৩ হাজার টাকা। কেজি প্রতি যার দাম এখন ৪ টাকা কমে প্রতি বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ টাকায়। মোটা চাল পাইজাম ও স্বর্ণা চালের দাম ২ হাজার ১০০ টাকায় নেমে এসেছে। মাসের শুরুতে ৩ থেকে ৪ টাকা বাড়তি দামে এই চালের ৫০ কেজির বস্তা ছিল ২ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ২ হাজার ৩০০ টাকার মধ্যে।

চলতি মাসের শুরু থেকে দাম কমার এই ধারা চালের বাজারকে ‘স্বাভাবিক অবস্থায়’ ফিরিয়ে আনবে বলে আশা দিচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। কারওয়ান বাজারের কিশোরগঞ্জ রাইস এজেন্সির বিক্রেতা দেলোয়ার হোসেন বলেন, “বোরো মওসুমের ধান আসার পর থেকে, অর্থাৎ চলতি মে মাসের শুরু থেকেই চালের বাজার পড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ভারত থেকে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি বন্ধ হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ভারতীয় চাল কিনে লোকসানের মুখে পড়েছে, কারণ দেশি চাল এখন ভারতীয় চালের চেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে।”

তিনি জানান, “ঈদের আগে ভারতীয় পাইজাম চালের ২৫ কেজির বস্তা ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এখন সেটা ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ”জনতা রাইস এজেন্সির বিক্রেতা রাসেল বলেন, “বাজারে এখন দুই রকম সরু চাল পাওয়া যাচ্ছে। নতুন মওসুমের চাল প্রতি ৫০ কেজির বস্তা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৭০০ টাকায়। আর পুরনো চাল এখনও ২ হাজার ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।”

ভারতীয় চালের দাম বস্তায় ১০০ টাকা করে কমেছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বোরো ধান এখনও পুরোপুরি বাজারে আসেনি। ধান বাজারে বা চাতালে উঠলে দাম আরেক দফায় কমে আসতে পারে।” তবে পাইকারিতে দাম কমার প্রভাব খুচরা বাজারে তেমন দেখা যায়নি। শুক্রবারও মোহাম্মদপুরের মুদি দোকান ভাই ভাই স্টোরে প্রতি কেজি রশিদ মিনিকেট চালের দাম রাখা হচ্ছিল ৬৫ টাকা করে। এই দোকানের ক্রেতা সাজিদুল হক বললেন, “চালের দাম কমেছে পত্রিকায় দেখলাম। আমাদের পাড়ার মুদি দোকানে এখনও দাম কমেনি।”

তবে পীরেরবাগের মুদি দোকানি ঝন্টু মিয়ার দাবি, ঈদের পরে দাম কিছুটা কমে এসেছে। মিনিকেট চালের ৫০ কেজির বস্তা একমাস আগে ৩,২০০ টাকা থাকলেও এখন তা কমে তিন হাজার টাকায় নেমেছে। একইভাবে বিআর আটাশ চালের বস্তা ২,৩০০ টাকায় এবং পাইজাম স্বর্ণা চাল ২,২০০ টাকায় নেমেছে। ঈদের আগের তুলনায় সব ধরনের চালের দাম বস্তায় ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে কমেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *