ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: করোনার বিস্তার ঠেকাতে এবার কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ। বাংলাদেশের প্রতিবেশী এই রাজ্যে ৩০ মে পর্যন্ত চলবে এই লকডাউন। এ সময় জরুরি সেবা ছাড়া সব ধরণের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। লোকাল ট্রেন আগেই বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
এবার বাস-মেট্রো এবং ফেরি পারাপার সম্পূর্ণ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ট্যাক্সি ও অটোও চলাচল করবে না। বন্ধ থাকছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও।
রাজ্যের সব শহরে মানুষের চলাচল সীমিত রাখতেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। আগামী ১৫ দিন জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাত ৯টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ।
আরোও পড়ুন: আমেরিকায় ১২-১৫ বছর বয়সীদের দেয়া হবে ফাইজারের করোনা টিকা
চলবে না ব্যক্তিগত গাড়িও। তবে দিনের বেলায় নিজের গাড়ি নিয়ে টিকা নিতে যেতে পারবেন মানুষ। বন্ধ থাকবে শপিং মল, স্পা, সিনেমা হল, শরীরচর্চা কেন্দ্র, সুইমিং পুলও।
সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মিষ্টি ও মাংসের দোকান। গয়না ও শাড়ির দোকান খোলা থাকবে দুপুর ১২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত। বন্ধ থাকবে মদের দোকান।
ব্যাঙ্ক খোলা থাকবে সকাল ১০টা থেকে ২টা র্যন্ত। খোলা থাকবে এটিএম বুথগুলো। আর সব মুদি দোকান ও বাজার খোলা থাকবে সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত।
হোটেল, রেস্তোরাঁ আগের মতোই বন্ধ থাকবে। তবে খাবার, ওষুধ, স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সামগ্রীর মতো পণ্য বাড়িতে সরবরাহ করা যাবে। অনলাইনে কেনাকাটা চলবে।
সব ধরণের সমাবেশ আগেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এবার বন্ধ থাকবে শিল্প-কারখানা। ৩০ শতাংশ কর্মী নিয়ে চালু থাকবে চটকল। চালু থাকবে ই-কমার্স এবং রান্নার গ্যাস সরবরাহ কেন্দ্র। রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় কঠোর হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, “লকডাউনে সবাইকে নিয়ম মেনে চলতে হবে। না হলে মহামারি আইনে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।”