সর্বশেষ

পরিবেশ সুরক্ষায় হাওরে স্কেটিং

পরিবেশ সুরক্ষা ও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে কিশোরগঞ্জের হাওরবেষ্টিত এলাকায় ৫০ কিলোমিটার স্কেটিং রাইড করেছে ‘স্কেটিং ৭১’ নামের একটি সংগঠন। গত শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) সকালে মিঠামইন জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ‘বাঁচাই পরিবেশ, বাঁচি আমরা’ স্লোগানে ৩৫ জন রাইডার শুরু করেন এ রাইড। অষ্টগ্রাম ও ইটনা পর্যন্ত কয়েক ধাপের রাইডে ৫০ কিলোমিটার পূর্ণ করেন রাইডাররা।

৫, ২৫ ও ৫০ কিলোমিটারের ৩টি ধাপের রাইডে অংশ নেন সংগঠনের সদস্যরা। সাধারণত শিশুদের জন্য ছিল কম দূরত্বের রাইড। আর আয়োজনে অংশ নেয় চার বছরের শিশু থেকে রেকর্ডকারী বিভিন্ন বয়সী রাইডাররা। আয়োজনে সন্তানদের সঙ্গে যুক্ত হন অভিভাবকেরাও।

স্কেটিংয়ের এ আয়োজনে যুক্ত হয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে চার বছর বয়সী রাইডার সিরাজিস সালেকিন জাওয়াদ। ৫০ কিলোমিটারের রাইডে অংশ নেওয়া তানজিব তুহিন বলেন, ‘প্রথমবার ৫০ কিলোমিটার রাইডে অংশ নিয়েছি। ভালো লাগছে। পরিবেশ সুরক্ষাবিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে আশা করি আরও অনেক কাজ করব।’

রাইডার ঐশিক অদ্রি বলেন, ‘স্কেটিং শুধু শরীর ফিট করে না। চলাচলের সময় আমরা প্রকৃতির ছোঁয়া পাই। আর প্রকৃতির খুব কাছাকাছি এসে রাইড করতে পেরে ভালো লাগছে।’

আয়োজন প্রসঙ্গে সংগঠনের মডারেটর মো. জিহাদ হোসেন বলেন, ‘বিভিন্ন সময় আমরা নানা ধরনের রাইডের আয়োজন করি। এবার পরিবেশবিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে আমাদের এ আয়োজন। বিশ্ব উষ্ণায়ন, বনভূমি ধ্বংসহ নানা ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ আমাদের ঘিরে ধরেছে। জরুরি হয়ে উঠেছে পরিবেশে নিয়ে কাজ করার।’
সংগঠনের আরেক মডারেটর সালমান আদনান সানি বলেন, ‘আমাদের সংগঠনের লক্ষ্য হচ্ছে স্কেটিংয়ের মাধ্যমে স্পোর্টসের সঙ্গে সংযুক্ত থাকা। তাই সমাজ ও মানুষের জন্য কল্যাণকর এ ধরনের আয়োজন আমরা অব্যাহত রাখব।’

অন্যদিকে শহরে ঘরবন্দী জীবন, ডিভাইসে আসক্তি থেকে শিশুদের মুক্ত রেখে স্কেটিংয়ের আয়োজনে সন্তানদের যুক্ত করতে পেরে খুশি অভিভাবকেরা। সাব্বির আলম নামের এক অভিভাবক বলেন, শিশুদের এখন বন্দী জীবন, এই ধরনের আয়োজন তাদের মধ্যে বন্ধন তৈরি করছে। পাশাপাশি শিশুরা সচেতন হচ্ছে।

আরেক অভিভাবক মোহসিনা মাহিম খান বলেন, করোনাকালে সন্তানেরা অনেক দিন ঘরবন্দী ছিল। নতুন করে তাদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ফিরে এসেছে। স্কেটিং করে তারা যেমন ফিটনেস ধরে রাখতে পারছে। পাশাপাশি ভালো কাজের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *