শিল্প ও বাণিজ্য

কয়েকগুণ বাড়বে পরিবেশ রক্ষায় নিকেল ও তামার চাহিদা

ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: পরিবেশ রক্ষায় জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমাতে কয়লা, তেল ও গ্যাসের পরিবর্তে ভবিষ্যতে নিকেল ও তামার চাহিদা কয়েকগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে ব্রোকেন হিল প্রোপার্টিস (বিএইচপি)। গ্রুপের নির্বাহীদের মাধ্যমে জানা যায়, আগামী ত্রিশ বছরের মধ্যে বিশ্ববাজারে তামার  চাহিদা দ্বিগুণ এবং নিকেলের চাহিদা চারগুণ বৃদ্ধি পাবে।

বিশষজ্ঞদের মতে, বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় গাড়ির ব্যাটারির প্রধান উপাদান নিকেলের ব্যবহার বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া গাড়ির বিভিন্ন যান্ত্রিক অংশের উপাদানে তামার তারের ব্যবহারও সমান তালে বৃদ্ধি পাবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে বিশেষজ্ঞরা।

বিএইচপির প্রধান বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ভ্যানদিতা পান্ট এফটি কমোডিটিস এশিয়া সামিটে বলেন, কার্বনশূন্য পৃথিবী গড়ে তুলতে গেলে, ৩০ বছরের মধ্যে গত তিন দশকের তুলনায় দ্বিগুণ বেশি তামার প্রয়োজন হবে। আর নিকেলের মতো পণ্যের চাহিদা বাড়বে চার গুণ। এক্ষেত্রে উভয় ধাতুর সরবরাহ হতে হবে যথাসম্ভব টেকসই।

এদিকে সম্প্রতি কমোডিটি ট্রেডিং জায়ান্ট ট্রাফিগুরার প্রধান নির্বাহী জেরেমি ওয়ার তামার চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভবিষ্যতে তামার সংকট দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করেছেন। করোনা পরবর্তী সময়ে বিশ্বে কোবাল্ট, নিকেল এবং তামার দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান জেরেমি।

এতদিন তামার বাজার মন্দা হওয়ার কারণে তামার উৎপাদন ছিল নিম্নমুখী। বিনিয়োগকারীরাও তামার বাজারে অর্থ লগ্নি করতে ভরসা পাচ্ছিল না। এতে করে ভবিষ্যতে তামার সংকট দেখা দেওয়ার আশংকা রয়েছে। যদিও থার্ড এভিনিউ ভ্যালু স্ট্র্যাটেজি পোর্টফোলিওর ম্যানেজার ম্যাথিউ ফাইনের মতে চলতি বছরে তামার উৎপাদন সাড়ে তিন শতাংশ বাড়বে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।

তামা থেকে নিকেলের অবস্থা ভালোর দিকে বলে জানিয়েছে বিশেষজ্ঞরা। সম্প্রতি প্রকাশিত গ্লোবাল ডাটার প্রতিবেদনে বলা হয়, চলতি বছর বিশ্বজুড়ে মোট ২৪ লাখ ২৭ হাজার ৪০০ টন নিকেল উত্তোলন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসাবে গত বছরের তুলনায় উত্তোলন বাড়বে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

আরো পড়ুন:

৮ মাসে সর্বোচ্চে জ্বালানি তেল রফতানি সৌদির

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *