পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থাপনা গড়তে ৩০ দেশ নতুন করে অঙ্গীকার করেছে। অন্যদিকে পরিবেশবান্ধব পরিবহন ব্যবস্থাপনা গড়ার জন্য এসব দেশে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করবে বিশ্বব্যাংক।
বুধবার (১০ নভেম্বর) স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোর স্কটিশ ইভেন্ট সেন্টারে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে ৩০ দেশ এই অঙ্গীকার করেছে। কপ সম্মেলনের সভাপতি ব্রিটিশ মন্ত্রী অলোক শর্মাসহ বিশ্ব নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
গ্লাসগোর ওয়ার্ল্ড লিডার সামিটে ৩০ দেশ অঙ্গীকার করেছে তারা কার্বন নিঃসরণ করবে না পরিবহন ব্যবস্থাপনায়। সব অঞ্চলে বাসযোগ্য, সাশ্রয়ী এবং টেকসই করে শূন্য কার্বন নির্গমনকে প্রধান্য দেওয়া হবে। এসব পরিবহন ব্যবস্থাপনা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে দেশগুলো।
বেশ কয়েকটি দেশ বিশেষ করে ভারত, রুয়ান্ডা, কেনিয়া তাদের উদীয়মান বাজার ব্যবস্থাপনায় এমন পরিবহন ব্যবস্থাপনা গড়ে তুলবে।
সম্মেলনে বিশ্বব্যাংক ২০০ মিলিয়ন জলবায়ু ট্রাস্ট ফান্ড ঘোষণা করেছে। যা আগামী ১০ বছরে উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতি মজবুত করতে সড়ক পরিবহন পরিবেশবান্ধব করা হবে। এই লক্ষ্যে ২০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করবে বিশ্বব্যাংক।
এই লক্ষ্যটি বাস্তবায়নে জিরো এমিশন ভেহিকেল ট্রানজিশন কাউন্সিলকে (জিইভিটিসি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এটা বাস্তবায়ন করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। উদীয়মান বাজার এবং উন্নয়নশীল অর্থনীতির পরিবর্তনের জন্য পাশে থাকবে বিশ্বব্যাংক। এছাড়া কীভাবে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়।
জিইভিটিসি তার প্রথম বার্ষিক অ্যাকশনপ্ল্যান চালু করবে, যা ২০২২ সালে রুপ দিতে কাজ করা হবে। এটা টেকসই করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার জন্য ক্ষেত্র নির্ধারণ করা হবে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জিইভিটিসি এর সহ-সভাপতি হিসেবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যোগ দিয়েছে।
সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯টি দেশ ‘গ্রিন শিপিং করিডোর’ চালু করবে। যাতে দুটি বন্দরের মধ্যে শূন্য কার্বন নির্গমন শিপিং রুট প্রতিষ্ঠা করা যায়। জলবায়ু পরিবর্তন করে না এমন জাহাজ প্রযুক্তি স্থাপন করা হবে। বন্দরগুলোতে বিকল্প জ্বালানি এবং ইলেকট্রিক চার্জিং পরিকাঠামো স্থাপন করা হবে। যাতে করে সারা বিশ্বে মূল রুটে শূন্য কার্বন নির্গমন শিপিং ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা যায়।
যুক্তরাজ্য ২০৩৫ থেকে ২০৪০ সালের মধ্যে ডিজেল ট্রাক বিক্রি বন্ধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। পাশাপাশি পরিবেশবান্ধব ট্রাক ব্যবস্থাপনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে দেশটি। পরিবহনে ডিজেলের পরিবর্তে ইলেকট্রিক ব্যবস্থাপনা গড়ে তোলা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
- টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে উদ্বিগ্নদের সমস্যা হয়েছে বেশি: গবেষণা
- আগামী শিক্ষা ব্যবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে