অভিমত

পবিত্র রমজান করোনার বিস্তার ঠেকাতে ভূমিকা রাখতে পারে

খোকন কুমার রায়:

রোজা মানেই সংযম। রোজা রেখে সংযমী হয়ে প্রাণঘাতী করোনার বিস্তার অনেকাংশে ঠেকানো সম্ভব। দরকার সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন। রমজান মাসে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ রোজা রেখে ইবাদত-বন্দেগী করেন। এ কাজটি যেন তাঁরা নিজ নিজ গৃহে থেকে করেন সেই বিষয়ে আরো প্রচারণা দরকার।

রমজানে সংযমী হয়ে আমরা যদি ইফতার ও সেহরীতে বিলাসিতা না করি তাহলে অসংখ্য দরিদ্র পরিবারকে সহযোগিতা করা সম্ভব। রমজানে সমন্বিত ত্রাণ বিতরণের একটি রূপরেখা প্রণয়ন এখনই গুরুত্বপূর্ণ।

বর্তমানে পূর্ণ বয়স্ক মানুষের তিন বেলা আহারের চাহিদা রয়েছে। কিন্তু রমজানে শুধু ইফতার আর সেহরির বিষয়টি থাকবে। আর যেহেতু ধর্মপ্রাণ মানুষ সংযমী হবেন তাই খাবারের চাহিদা কমবে আশা করা যায়।

রমজানে সমাজের বিত্তশালীরা নানান ভাবে দরিদ্রদের সহায়তা করে থাকেন; যেমন- যাকাত, দানখয়রাত প্রভৃতি। আসন্ন রমজানে যদি আমরা যাকাত ও দানখয়রাতের সামগ্রী একটু আগে ভাগেই দরিদ্রদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেই তাহলে মানুষের অনেক বেশি উপকার হবে।

কাজেই আসুন রমজানের তাৎপর্য মেনে আহারে বিলাসিতা পরিহার করি, সংযমী হই এবং সমাজের দরিদ্র মানুষের উপকার করি নিরাপদ শারীরিক দূরত্বে থেকে। সকলের সহযোগিতাই পারে এই জাতীয় বিপর্যয় থেকে আমাদের মুক্তি দিতে।

রমজান সবার জন্য আশীর্বাদ বয়ে আনুক। সকলকে পবিত্র মাহে রমজানের আগাম শুভেচ্ছা।

লেখক: সম্পাদক ও প্রকাশক, ধূমকেতু.কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *