নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: স্বপ্নের পদ্মা সেতুতে সব স্প্যান বসে যাওয়ায় এখন অপেক্ষা যানবাহন চলাচল শুরুর। যাতায়াত নিরবচ্ছিন্ন রাখতে টোল দিতে থামতে হবে না কোনো গাড়িকে। অত্যাধুনিক ডিভাইসের মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতেই আদায় করা হবে টোল। এরইমধ্যে সেতুর দুই প্রান্তে দুটি টোল প্লাজা তৈরি করা হয়েছে।
টোলের হার নির্ধারণে চলতি সপ্তাহে একটি কমিটি গঠন করেছে সেতু মন্ত্রণালয়।
সেতুর দুই পাশে নির্মাণ করা হয়েছে দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ে। ৫৫ কিলোমিটারের ৬ লেনের এ সড়কে কোথাও থামবে না গাড়ি। সেতুতেও গাড়ির গতি নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে সেখানে টোল আদায় হবে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে। ২০১৯ সালে এ জন্য কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে কপোরেশানের সাথে করা চুক্তি অনুযায়ী এখানে উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে গাড়িতে লাগানো ডিভাইসের মাধ্যমে আদায় করা হবে টোল।
নির্মাণ ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকা তুলে আনতে সেতুতে চলাচলকারী যানবাহনের জন্য একটি টোলের হার প্রস্তাব করেছে সেতু মন্ত্রণালয়। ১৫ বছর পর এ টোল আরও ১০ শতাংশ বাড়ানো হবে। মোট ৩৫ বছর আদায় করা হবে টোল।
সেতু সচিব বলেন, পদ্মা সেতুতে টোল আদায়ের বিষয়ে সেতু কর্তৃপক্ষ এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। নিয়ম হলো যেখানে ফেরি চলাচল করে; সেখানে ফেরিতে যে ভাড়া থাকে তার থেকে কিছুটা বাড়িয়ে টোল নির্ধারণ করা হয়।
টোল থেকে আদায় করা অর্থ সেতুর রক্ষণাবেক্ষণের কাজে ব্যয় করা হবে। প্রতিদিন গড়ে ২৪ হাজার যানবাহন চলতে পারবে এ সেতুতে।