ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: করোনার সংক্রমণ রোধে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। তাই ঢাকার মতো বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সব বিনোদন কেন্দ্রও বন্ধ রয়েছে। তবে একমাত্র ভিন্ন চিত্র দেখা গেছে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকায়। এখানে ঈদের দিন বাড়তে থাকে ভ্রমণ ও বিনোদন পিয়াসী মানুষের আনাগোনা। বিকাল হতে না হতেই সৈকতে নামে মানুষের ঢল। পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে হাজারো মানুষের মিলনমেলায় পরিণত হয় পুরো সৈকত এলাকা। তবে সন্ধ্যার পর সৈকতের মূল পয়েন্ট থেকে সবাইকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: করোনার ভারতীয় ধরন ঠেকাতে যশোর বিমানবন্দরে কড়াকড়ি
এদিকে ঈদের পর গত তিন দিনও প্রায় একই পরিস্থিতি লক্ষ করা গেছে। নগরবাসীর পাশাপাশি দূর-দূরান্তের ভ্রমণপ্রিয় মানুষেরও আগমন ঘটে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে পরিবার-পরিজন তথা প্রিয়জনদের সঙ্গে নিয়ে রবিবার-সোমবারও সৈকত অভিমুখী মানুষের সংখ্যা কম ছিল না।
সাগরে নেমে গোসল করে, স্পিড বোটে চড়েও অনেকে আনন্দ উপভোগ করেছেন। পাশাপাশি ১৫ নম্বর ঘাটের নেভাল একাডেমি, নগরীর সিআরবি, ২ নম্বর গেট জয় বাংলা উদ্যান ও বায়েজিদ বাইপাস সড়ক এলাকায়ও মানুষের ভিড় দেখা গেছে। ঈদের ছুটি শেষে রবিবার সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান খুললেও ঈদকে কেন্দ্র করে সাধারণ মানুষের বেড়ানো থামেনি। নগরীর উপকণ্ঠে আনোয়ারার পারকি ও গহিরা সমুদ্র সৈকত, কাট্টলী সমুদ্র সৈকত, মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন কর্ণফুলীর পাড়, অভয়মিত্র ঘাট এলাকায়ও তরুণ-তরুণীদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখ করার মতো।
এদিকে ঈদের ছুটিতে স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে নগরীর বিভিন্ন বিনোদনকেন্দ্র ও জনসমাগমস্থলে অভিযান পরিচালনা করেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত।