নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ‘আজ হতে আর আমাদের কেরোসিন তেল-দিয়াশলাই খুঁজতে হবে না। সন্তানদের পড়ালেখাসহ নানা কাজে আলোর অভাব হবে না। অন্ধকারে আর ভূতুড়ে অবস্থা বিরাজ করবে না। যেন শহরের মতো লাগছে। শেখ হাসিনার অছিলায় আমরা আলোকিত হলাম, আল্লাহ যেন তাকে ভালো রাখেন, সুস্থ রাখেন।’
কথাগুলো বলছিলেন নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার এখন থেকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সুবিধাভোগীরা। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সকালে সারা উপজেলায় অন্ধকারে থাকা ৭৫টি পরিবারের মধ্যে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান করা হয়।
নীলফামারী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জলঢাকা জোনাল অফিস সূত্র জানায়, এই অফিসের কার্যক্রম ২০১৫ সালে শুরু হয়। আমাদের ৩০৩.৫২ বর্গকিলোমিটার কর্ম এলাকায় বর্তমানে গ্রাহকসংখ্যা ৬৬ হাজার ৮০০ জন। শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক উদ্বোধন করা হয় গত বছর। আমাদের নতুন সংযোগ ফি জামানত ও আবেদন ফিসহ ৫৬৫ টাকা লাগে। চলতি সপ্তাহে বিভিন্ন গ্রামে খুঁজে ৭৫টি পরিবার বিদ্যুৎ সুবিধাবঞ্চিত পাওয়া যায়। এসব পরিবার নতুনভাবে সৃষ্টি হয়েছে। তাই পরিবারগুলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ৭৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সুবিধা নিশ্চিত করা হচ্ছে।
সুবিধাভোগী বিধবা তুলসী বালা, প্রতিবন্ধী মনোয়ার হোসেন, স্বামী পরিত্যক্তা রশিদা বেগম জানান, আমরা এক বেলা ভালো খাব এমন সামর্থ্য নাই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে আমাদের সব সংযোগ খরচ এজিএম সেফাত স্যার দিয়েছেন।
এলাকাবাসী মোজাহার, গোলাপী বেগম, বুলবুলি বেগমসহ অনেকেই জানান, এত দিনে হাট-বাজার থেকে কেরোসিন তেল না আনলে তাদের ঘরে কুপি জ্বলত না। ম্যাচের কাঠি না থাকলে এবাড়ি-ওবাড়ি ম্যাচ খুঁজতে হতো। এখন থেকে তাদের দুঃখ কেটে গেল। সন্তানরাও পড়ালেখার জন্য অধিক আলোর সুবিধায় এলো। শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে তাদের বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে আলোর ফেরিওয়ালা একটি সুন্দর ইতিহাস রচনা করল।
নীলফামারী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি জলঢাকা জোনাল অফিস এজিএম (ও অ্যান্ড এম) কাজী মো. সেফাত রেজা ইবনে হক বলেন, আলোর ফেরিওয়ালার মাধ্যমে নতুনভাবে চলতি সপ্তাহে আমরা ৭৫ জনকে খুঁজে পেয়েছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার- কেউ অন্ধকারে থাকবে না। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন উপলক্ষে তাদেরকে আলোকিত করা হচ্ছে। এদের মধ্যে প্রতিবন্ধী ও বিধবাসহ ১০টি দুস্থ পরিবারকে বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন নীলফামারী পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সদস্য সেবা এজিএম (এমএস) প্রকৌশলী মো. মতিউর রহমান, অ্যান্ড ফোর্সম্যান কো-অর্ডিনেটর রুহুল আমিন, ওয়ারিং পরিদর্শক বেলায়েত হোসেন প্রমুখ।
আরো পড়ুন: