নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: চট্টগ্রামের আনোয়ারার পারকি সৈকতে প্রায় ১৬ বছর পর দেখা মিলেছে লাল কাঁকড়ার। তবে এগুলোর সুরক্ষায় কোনো ব্যবস্থা নেই। বরং এলাকার কিশোরের দল অবাধে এসব লাল কাঁকড়া ধরছে। তাদের ভাষ্যমতে, খাওয়ার ও বিক্রির জন্য তারা লাল কাঁকড়া ধরছে।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, করোনা পরিস্থিতিতে পারকি সৈকতে পর্যটকের আনাগোনা কমে এসেছে। এ কারণে নিস্তব্ধ বালুময় সৈকতের যেদিকে মানুষ কম থাকে, সেদিকে বের হয়ে খেলা করছে লাল কাঁকড়ার দল। প্রায় ১৬ বছর আগে এখানকার মতো দৃশ্য নিয়মিত ছিল। সৈকতের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত, সবখানেই ছিল কাঁকড়াদের ছোটাছুটি। সঙ্গে দেখা যেত আরও নানা প্রজাতির ছোট কাঁকড়া। তবে সৈকতে পর্যটক বাড়তে থাকলে কমে যায় লাল কাঁকড়ার আনাগোনা।এবার শুধু পারকি সৈকতই নয়, এখান থেকে শুরু করে শঙ্খ নদের মোহনা পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরের পুরো সৈকতে যেখানে মানুষের আনাগোনা কম, সেখানে দেখা মিলছে লাল কাঁকড়ার।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, লাল কাঁকড়ার দল এদিক-ওদিক ছুটে বেড়াচ্ছে। আর একদল কিশোর দৌড়ে গিয়ে সেসব কাঁকড়া ধরে থলেতে ভরছে। মো. ফাহিম ও জাহেদুল আলম নামের দুজন বলল, তারা এগুলো ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজিতে বিক্রি করে। আবার নিজেরাও খাওয়ার জন্য রাখে।
স্থানীয় ভ্রমণবিদ জামশেদুল আলম বলেন, সৈকতজুড়ে লাল কাঁকড়া ধরছে কিশোরের দল। শুক্রবার তারা দুই শতাধিক কাঁকড়া উদ্ধার করে সৈকতে ছেড়ে দিয়েছেন।
পারকি সৈকতসংলগ্ন আনোয়ারার বারশত ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ বলেন, ‘ছোটবেলা থেকে যে কাঁকড়াগুলো দেখে বড় হয়েছি, সেগুলো প্রায় হারিয়ে গিয়েছিল। গত ১৫-১৬ বছর বলতে গেলে এগুলো চোখেই পড়েনি। তবে গত বছর থেকে লকডাউনের কারণে সৈকতে মানুষের আনাগোনা কমে আসায় দলে দলে লাল কাঁকড়া দেখা যাচ্ছে। কিন্তু শিকার শুরু করায় আবারও ঝুঁকিতে পড়বে কাঁকড়াগুলো। এসব কাঁকড়া না ধরার জন্য স্থানীয় ব্যক্তিদের উদ্বুদ্ধ করা হবে।’
আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, কাঁকড়া শিকারে জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হবে। খবর নিয়ে করণীয় ঠিক করা হবে।