ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে বিজয়ী ইউপি সদস্য এবং তার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা, অগ্নিসংযোগ ও লুটের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার সন্ধ্যায় ও মঙ্গলবার সকালে দুই দফায় এ হামলা হয়। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০ জন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে গত সোমবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মরিচারচর মাইজপাড়া ২ নম্বর ওয়ার্ডে মেম্বার নির্বাচিত হন আবুল বাশার বাদশা।

তাঁর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ফাখরুল ইসলাম, মফিজ উদ্দিন ও লিটন মিয়া। কেন্দ্র থেকে রাতে আবুল বাদশাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হলে ক্ষিপ্ত হন পরাজিত তিন প্রার্থী। তাঁরা এ ফল মেনে না নিয়ে পুন নির্বাচনের দাবি করে বিজয়ী প্রার্থীর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেই সঙ্গে প্রায় শতাধিক সমর্থকদের বাড়িতেও হামলা চালিয়ে লুটপাট করে তারা।

আজ মঙ্গলবার সকাল থেকেই তিন পরজিত প্রার্থী এক হয়ে নিজ এলাকায় ঘোষণা দিয়ে সন্ত্রাসী নিয়ে ফের হামলা চালায় বিজয়ী প্রার্থী বাদশা ও তাঁর সমর্থকদের বাড়িতে।

স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, হামলাকারীরা পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর নির্দেশে ও তিন মেম্বার প্রার্থী লোকজন পরপর দুইবার হামলা চালায়। এ সময় তারা বসত ঘর ছাড়াও বাড়ির আশপাশে থাকা খড়ের গাঁদাতেও আগুন ধরিয়ে দেয়।

হামলার শিকার তফাজ্জল নামে এক কৃষক জানান, পরাজিত মেম্বার প্রার্থী ফাখরুল ইসলামের লোকজন তাঁর বসতঘরে প্রবেশ করে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় একটি ট্রাংকে থাকা সদ্য সেনাবহিনীতে যোগদান করা ছেলে আশিকের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয় তারা।

এ সব বিষয়ে জানতে চাইলে পরাজিত তিন মেম্বার প্রার্থীদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পাওয়া যায়নি। তবে পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নজরুল ইসলাম জানান, ওই ঘটনার সঙ্গে তিনি বা তাঁর লোকজন জড়িত নন।

ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর কাদের মিয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়েই তিনি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছেন। সেখানেই একদল পুলিশ অবস্থান করছে। এ ব্যাপারে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজন লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *