বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরওয়ারকে রাজধানীর পল্টন থানায় দায়ের করা নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে মিয়া গোলাম পরওয়ারকে কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
আদালতের পল্টন থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, গত ১৩ জুন আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সালাহ উদ্দিন কাদের। আবেদনের প্রেক্ষিতে মামলার তদন্তকর্মকর্তার উপস্থিতিতে শুনানি শেষে বিচারক তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, বাদী রুমাম শেখ ২০২১ সালের ২৬ মার্চ দুপুরে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে জুমার নামাজ পড়তে যান। ফরজ নামাজ শেষে মসজিদের ভেতরে উচ্ছৃঙ্খল ধর্মান্ধ ব্যক্তিদের জুতা প্রদর্শনসহ নানা ধরনের রাষ্ট্রবিরোধী শ্লোগান দিতে দেখেন। ওইদিন জুমার নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে উত্তর গেটের সিঁড়িতে কয়েক হাজার হেফাজত ও জামায়াত-শিবির-বিএনপি কর্মীদের জমায়েত হতে দেখেন। তাদের শ্লোগান ও কথোপকথনে বাদী জানতে পারেন হেফাজত ইসলামের যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের নেতৃত্বে শীর্ষস্থানীয় জামায়াত-শিবির-বিএনপি ও হেফাজত নেতৃবৃন্দ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে দেশি-বিদেশি সরকারপ্রধান ও রাষ্ট্র প্রধানদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত কর্মসূচি বানচাল করতে এ উচ্ছৃঙ্খল কর্মকাণ্ড করছে।
আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা আরও বলেন, আসামি মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিয়ে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে মিছিলসহ অগ্রসর হয়। উপস্থিত মুসল্লি ও জনতার শক্ত প্রতিরোধের মুখে তারা পিছু হটে। এ সময় বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ গেটে থাকা মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আসামি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরোয়ার এ ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ও তার নির্দেশে হেফাজতের অন্যান্য নেতাকর্মীরা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে। মামলার মূল রহস্য উদঘাটন ও সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো একান্ত প্রয়োজন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর তাকে একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নেওয়া হয়।