ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: আফগানিস্তানের নারীরা তাদের কর্মসংস্থানের উপর তালেবানদের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সমালোচনা করে জানান, এ অবস্থায় দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ ভয়াবহ হয়ে উঠেছে।

প্রশাসনিক সংস্কার কমিশনের প্রাক্তন কর্মচারী, ফারজিয়া জানান, চাকরি হারানোর পর থেকে তিনি আর্থিক ও মানসিকভাবে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হয়েছেন।

পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী ফারজিয়া বলেন, যেসব মেয়েরা পড়াশোনা করে দক্ষতা অর্জন করেছে তাদের চাকরিতে বহাল রাখার অনুমতি প্রদান অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ছিল।

প্রাক্তন সরকারের কর্মচারী, উকদা জানান, যখন একজন মহিলাকে তার দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয়, তখন সময়ের সাথে সাথে সে সমস্ত অভিজ্ঞতা এবং সক্ষমতাও হারিয়ে ফেলবে।

কাবুলের বাসিন্দারা জানায়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য নারী ও পুরুষ উভয়ের কাজ করা প্রয়োজন।

কাবুলের বাসিন্দা মুদাসের বলেন, পুরুষদের পাশাপাশি নারীদেরকেও কাজ করতে দেওয়া উচিত, যেন দেশের অর্থনীতির বৃদ্ধি সম্ভব হয়।

কাবুলের অপর এক বাসিন্দা ওয়াসিম সারওয়ারি বলেন, নারীদের কাজ করার সুবিধা প্রদানে অসুবিধা থাকার কথা নয়। এটি বরং সমাজের অগ্রগতিরই পরিচায়ক।

ইসলামী আমিরাতের ডেপুটি মুখপাত্র, বিলাল করিমি অবশ্য জানান যে, সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয়তার ভিত্তিতে এখনও কিছু মহিলা নিযুক্ত আছেন।

করিমি বলেন, নারীদের যেসব সেক্টরে প্রয়োজন সেখানে তারা কাজ করছেন। স্বরাষ্ট্র, অর্থ, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন নারীরা।

অপরদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মুখপাত্র, বেদান্ত পাটেল বলেন যে, কর্মসংস্থান এবং শিক্ষাক্ষেত্রে নারীদের প্রবেশাধিকার নিষেধের মাধ্যমে আফগানিস্তানেরই ক্ষতি হচ্ছে।

তালেবান অবশ্য জানায় যে, আফগানিস্তানে নারী অধিকার সম্পূর্ণভাবে সুরক্ষিত এবং দেশটির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের দেশগুলোকে নাক না গলানোর জন্য আহ্বান জানায় তারা।

তালেবান নেতৃত্বাধীন সরকার আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নারী অধিকার ও স্বাধীনতার উপর দমন পীড়ন নীতি চালিয়েছে তারা।

জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো তালেবানের এই নীতির নিন্দা জানিয়েছে। তাদের দাবি এ পরিস্থিতি দেশের দারিদ্র‍্য, বেকারত্ব এবং চরমপন্থাকে বৃদ্ধি করবে এবং একইসাথে সন্ত্রাসবাদেরও বৃদ্ধি ঘটাবে। ফলে বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হয়ে দাঁড়াবে দেশটি।

এমএইচডি/ আই. কে. জে/

আরো পড়ুন:

পাকিস্তানে হক দো তেহরিক প্রধানের মুক্তির দাবিতে নারীদের মিছিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *