নিখিল মানখিন, ধূমকেতু বাংলা: দেশের নারীরা বহু ক্ষেত্রে এগিয়ে গেলেও আমাদের সমাজে তারা এখনো ব্যাপকভাবে বঞ্চিত, নিগৃহীত, নির্যাতিত ও অবহেলিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বত্র নারীর শুধু অংশগ্রহণ বাড়ালেই চলবে না, তার গুণগত উন্নয়ন জরুরি। কোনো দেশের উন্নয়নের জন্য নারীর উন্নয়ন ও ক্ষমতায়ন গুরুত্বপূর্ণ। নারীকে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। নারীর অনানুষ্ঠানিক কাজের অর্থনৈতিক মূল্যায়ন করা দরকার। কর্মক্ষেত্রে লিঙ্গ সংবেদনশীল পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরাও। পরিবার, সমাজ ও দেশের উন্নয়নে নারীরা প্রায় সমানভাবে অবদান রাখছেন। আমাদের মোট জনসংখ্যার অর্ধেকই নারী। সবার শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাসস্থানের পূর্ণ ব্যবস্থা করতে হবে। নারীবান্ধব আইনগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন জরুরি। কর্মক্ষেত্রে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করতে হবে। নারীর উন্নয়নের জন্য রাজনৈতিক নেতৃত্বে আরও ক্ষমতায়ন প্রয়োজন। জাতীয় উন্নয়ন কর্মসূচীতে নারীদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের নারীরা সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে যাচ্ছে। প্রথম নারী উপাচার্য, প্রথম নারী পর্বতারোহী, বিজিএমইএ’র প্রথম নারী সভাপতি, প্রথম মেজর, প্রথম নারী স্পিকার, প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিগত এক দশকে সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের সংবিধানে নারীর যথাযোগ্য অবস্থান নিশ্চিত করা হয়েছে। সংবিধানে নারীর অধিকার ও মৌলিক স্বাধীনতা রক্ষা করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ধারা সন্নিবেশ করা হয়েছে। সংবিধানের ১৯ অনুচ্ছেদে বর্ণনা করা হয়েছে- “জাতীয় জীবনে সর্বস্তরে মহিলাদের অংশগ্রহণ ও সুযোগের ক্ষমতা রাষ্ট্র নিশ্চিত করিবে।” ২৭ নং ধারায় উল্লেখ করা হয়েছে- “সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী”। এছাড়াও ২৮(১) ২৮(২), ২৮(৩), ২৮(৪), ২৯(১), ২৯(২) – ধারায় নারী-পুরুষ, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকারের বিধান রয়েছে। ৬৫(৩) ধারায় নারীর জন্য জাতীয় সংসদে আসন সংরক্ষিত আছে এবং এ ধারার অধীনে নারী স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানসমূহে প্রতিনিধিত্ব করতে পারে। সর্বোপরি নারীদের প্রতি ইতিবাচক সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গির মাত্রা আরও বাড়াতে হবে।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ -সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ধূমকেতু বাংলাকে বলেন, স্বাধীনতা-পরবর্তী ৫০ বছরে বাংলাদেশে অর্থনীতির পট পরিবর্তনে একটি উল্লেখযোগ্য দিক হলো কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ। এই পাঁচ দশকে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি অর্জনের সফলতায় বড় অবদান রেখেছেন নারীরা। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে এসে এখন গর্ব করে বলা যায়, পাকিস্তানকে যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পেছনে ফেলেছে, তার একটি হলো কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ।

গত ১৩ ডিসেম্বর রাজধানীর সিরডাপে অনুষ্ঠিত নারী অভিবাসীদের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় করণীয় বিষয়ক জাতীয় পর্যায়ের মতবিনিময় সভায় কর্মজীবী নারীর সভাপতি ও সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গেলেও দেশের নারীরা এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। একজন নারীর জন্য যে কোনো কাজ, ঘরে বা বাইরে, দেশে বা বিদেশে, তার কাজের প্রধান সমস্যা হলো -সে নারী। কিন্তু তাকে যদি আমরা তার কর্ম দিয়ে বিবেচনা করি, তাকে যদি আমরা মর্যাদা দেই, তবেই তার প্রতি আমাদের মূল্যায়ন করা হবে। সংবিধানে নারীকে সমান অধিকার দেয়া হলেও নারীরা প্রত্যাশিত মাত্রায় এগিয়ে যেতে পারেনি। নারী বলে এখনো আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমাদের সবার দৃষ্টিভঙ্গি বদলাতে হবে। একজন নারী অনেক মর্যাদা নিয়ে কাজে যাচ্ছেন সব সময়।  তাই আমাদের নিজেদেরও নারীদের সঠিকভাবে তৈরি করতে হবে।

কর্মক্ষেত্রে নারী 

স্বাধীন দেশের শ্রমবাজারে ধীরে ধীরে বেড়েছে নারীর অংশগ্রহণ। তবে শ্রমবাজারে নারীর একটা বড় অংশই অনানুষ্ঠানিক বা নিম্নআয়ের ও ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োজিত। গত ৫০ বছরে নারীরা দেশের উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) গত বছরের এক গবেষণায় বলা হয়, মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) নারীর অবদান প্রায় ২০ শতাংশ। তবে সংসারের ভেতর ও বাইরের কাজের মূল্য ধরা হলে নারীর অবদান বেড়ে দাঁড়াবে ৪৮ শতাংশ। এর অর্থ হলো, দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে নারী-পুরুষের অবদান বলা যায় সমান সমান।

বিবিএসের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, ১ কোটি ৮৭ লাখ নারী কৃষি, শিল্প ও সেবা-অর্থনীতির বৃহত্তর এই তিন খাতে কাজ করছেন। তবে উৎপাদন ব্যবস্থায় নারীর অংশগ্রহণ বাড়লেও নারী কর্মীদের সিংহভাগই শ্রমজীবী, বাকিরা শিক্ষকতা, চিকিৎসা, ব্যাংকিং, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নানা পেশায় যুক্ত, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহীসহ বিভিন্ন উচ্চ পদেও দায়িত্ব পালন করছেন নারীরা। তবে শ্রমবাজারে নারীর একটা বড় অংশ অপ্রাতিষ্ঠানিক কাজে নিয়োজিত। যেমন- কর্মজীবী নারীদের অর্ধেকের বেশি কৃষিকাজে সম্পৃক্ত। আরেকটি বড় অংশ পোশাকশিল্পে কাজ করে। সিদ্ধান্ত গ্রহণের জায়গায় নারীর অংশগ্রহণ কম।

বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ে ৭ দশমিক ৬ শতাংশ নারী আছেন। তবে উপসচিব থেকে সচিব পর্যায়ে নারীর সংখ্যা ১ শতাংশ বা তারও কম। দেশে সরকারি ও আধা সরকারি প্রতিষ্ঠানে অনুমোদিত পদেও নারীর সংখ্যা পুরুষের তুলনায় অনেক কম।

তৈরি পোশাক খাতে নারী 

দেশে নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলতে হলে প্রথমেই আসে পোশাক খাতের নাম। কৃষিনির্ভর অর্থনীতি হিসেবে স্বাধীন বাংলাদেশের অর্থনীতির যাত্রা শুরু হয়। তৈরি পোশাকশিল্পের অভিযাত্রা ও বিকাশের ফলে কয়েক বছরের মধ্যে অর্থনীতির চেহারা পাল্টাতে শুরু করে। বর্তমানে মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) পোশাক খাতের অবদান ১১ দশমিক ১৭ শতাংশ। প্রায় ৪০ লাখ মানুষ এখানে কাজ করে। মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৮৩ শতাংশই আসে পোশাক খাত থেকে। এই তথ্য রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি)। এশিয়ান সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্টের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে এই খাতে কাজ করা ৪০ লাখ শ্রমিকের ৫৯ দশমিক ১২ শতাংশ নারী।

বৈষম্য:

লিঙ্গবৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ধারাবাহিক উন্নতি করেছে। এই বৈষম্য দূর করার ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়ায় শীর্ষস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, যা বিগত কয়েক বছরের ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্ট’ পর্যালোচনা করলে দেখতে পাই। কিন্তু করোনা-পরবর্তী সময়ে গত এক বছরে দেশে এই বৈষম্য বেড়েছে। ‘গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টি-২০২১‘ অনুযায়ী বাংলাদেশ এক বছরের ব্যবধানে পিছিয়েছে ১৫ ধাপ। সমতা অর্জনের বৈশ্বিক সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থান ৬৫তম। এই সূচকে গত বছর বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৫০তম। অর্থনীতিতে অংশগ্রহণ, শিক্ষার সুযোগ, স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তি ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন- এই চার মাপকাঠিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিবেচনা করে প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়ে থাকে। সূচকে একটি দেশের অবস্থান নির্ধারণ করা হয় ১ ভিত্তিক স্কেলে, যেখানে ১ মানে হলো পুরো সমঅধিকার, আর শূন্য মানে পুরোপুরি অধিকারবঞ্চিত। এ হিসাবে বাংলাদেশের এবারের মোট স্কোর শূন্য দশমিক ৭১৯, যা গত বছর ছিল শূন্য দশমিক ৭২৬। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে সূচকে অবনতি হয়েছে।

বৈশ্বিকভাবে অবনমন ঘটলেও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। রাজনীতির শীর্ষ পর্যায়ে নারীর অবস্থান, শিক্ষায় সমান সুযোগ এবং কর্মসংস্থানে নারীর এগিয়ে যাওয়ায় অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এগিয়ে।

এ বছর মোট ১৫৬টি দেশের তথ্য নিয়ে এ সূচকটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনের তথ্যমতে, বাংলাদেশে মূলত শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণ সীমিত হওয়ায় অর্থনৈতিক সমতা সূচকে অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের ৩৮ দশমিক ৪ শতাংশ নারী, ভারতের ২২ দশমিক ৩ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ২২ দশমকি ৬ শতাংশ নারী রয়েছে শ্রমবাজারে। এই অঞ্চলে নেপালের অর্থনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ ৮৫ শতাংশের বেশি। অন্যদিকে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের শীর্ষ সাত দেশের একটি বাংলাদেশ। সরকার প্রধানসহ দেশের অনেক শীর্ষ পর্যায়ে নারীরা রয়েছেন। স্বাধীনতার ৫০ বছরের ইতিহাসে একমাত্র বাংলাদেশেই দীর্ঘ ২৭ বছর শীর্ষে অবস্থান করছেন নারী।

গ্লোবাল জেন্ডার গ্যাপ রিপোর্টি-২০২১ এর তথ্যমতে, করোনা মহামারি শুরুর পর স্বাস্থ্য খাতে জরুরি অবস্থা এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সংকুচিত হয়ে আসায় সারা বিশ্বেরই নারীরা তুলনামূলক বেশি ক্ষতিগ্রস্ত। এক বছরের ব্যবধানে বিশ্বে নারী-পুরুষের সমতার ব্যবধান শূন্য দশমিক ৬ শতাংশ বেড়েছে। যে গতিতে বিশ্ব এগোচ্ছে, তাতে সারাবিশ্বে নারী-পুরুষের বৈষম্য বিলোপ করতে ১৩৫ বছরেরও বেশি সময় লাগবে।

রাজনীতিতে নারী

বিশেষজ্ঞরা বলেন, বাংলাদশের রাজনীতিতে বহুদিন ধরে নারী নেতৃত্ব চললেও সার্বিকভাবে রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ সুখকর নয়। মানুষ হিসেবে, দেশের নাগরিক হিসেবে নারীর অধিকার আছে রাজনীতিতে অংশগ্রহণের। নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা মানে কিন্তু পুরুষের মতো হতে চাওয়া নয়, পুরুষ ও নারীর সমান অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা, সিদ্ধান্ত গ্রহণের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করা। নারীর জীবন নিয়ে নিজের সিদ্ধান্ত গ্রহণের স্বাধীনতা এখনো এই দু‘হাজার একুশ সালেও সীমিত। কোনো যোগ্য নারী এখনও চাইলেই তার মতামত প্রতিষ্ঠা করার সুযোগ পান না, বরং পরিবার থেকে, রাষ্ট্র থেকে তীব্র বাধার সম্মুখীন হন। এই বাধা অতিক্রম করে নারীকেই এগোতে হবে। শ্রেণি ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের কারণে নারীরা আজও রাজনৈতিক ক্ষমতা ও নীতিনির্ধারণ থেকে অনেক দূরে।

এটা স্বীকৃত যে, রাজনৈতিক ক্ষমতা ছাড়া নারীর পূর্ণ বিকাশ কোনোভাবেই সম্ভব নয়। সমাজ ও রাজনীতিতে নারীর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হলে, কথা বলার অধিকার পেতে হলে রাজনৈতিক ক্ষমতায় অংশগ্রহণ করা ছাড়া বিকল্প পথ নেই। গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে নারী ও পুরুষ উভয়ের নাগরিক হিসেবে সমঅধিকারের দাবি প্রতিষ্ঠা করা অত্যন্ত জরুরি। বাংলাদেশে নারী-পুরুষের সংখ্যা এখন সমান সমান। নারীকে দ্বিতীয় লিঙ্গ হিসেবে, অধস্তন হিসেবে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার পুরনো কৌশল বা মানসিকতা পোষণ করার কোনো সুযোগ আর নেই। নিজের যোগ্যতা প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে দল তাকে মূল্যায়ন করবেই।

পুরুষের তুলনায় নারীদের গড় আয়ু বেশি:

বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় ৪ বছর বেশি। জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) এর ‘বিশ্ব জনসংখ্যা পরিস্থিতি ২০২১’ প্রতিবেদনে এই তথ্য উঠে এসেছে। সম্প্রতি প্রকাশিত ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৫ বছর, যেখানে পুরুষদের গড় আয়ু ৭১ বছর। এছাড়া বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে নারীদের গড় আয়ু ৭৪.২ বছর। আর পুরুষদের ৭১.১ বছর। অর্থাৎ নারীদের গড় আয়ু পুরুষদের তুলনায় প্রায় তিন বছর বেশি। নারীর গড় আয়ু বেশি বা কম হওয়ার পেছনে নারীর সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক কাঠামো জড়িত বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো পড়ুন:

স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের অগ্রগতি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *