ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: ফেসবুক ও টুইটারে নিষিদ্ধ হয়ে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অথচ ট্রাম্পবিহীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম একসময় কল্পনাও করা যেত না।
চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্পের সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালালে ফেসবুক ও টুইটার ট্রাম্পের অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করে। সেই থেকে তিনি ঘোষণা দিয়ে আসছেন, এবার নিজের নতুন মাধ্যম নিয়ে হাজির হবেন তিনি। সে লক্ষ্যে এখন বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালাচ্ছেন তিনি। পাকাপাকি হলে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ পাবেন তিনি।
এক ঘোষণায় ট্রাম্প ও বিনিয়োগকারীরা জানিয়েছেন, নতুন এই কোম্পানির নাম হবে ট্রাম্প মিডিয়া অ্যান্ড টেকনোলজি গ্রুপ। সেই কোম্পানি এবার নতুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিয়ে আসবে—ট্রুথ সোশ্যাল হবে যার নাম। ঘোষণার তথ্যানুসারে, এই মাধ্যমের লক্ষ্য হবে ‘উদারনৈতিক মিডিয়া গোষ্ঠীর প্রতিপক্ষ তৈরি করা এবং সিলিকন ভ্যালির বড় প্রযুক্তি কোম্পানির বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।’
২০২০ সালের নির্বাচনে ক্ষমতা ছাড়ার পর ট্রাম্প মূলধারার গণমাধ্যমে অতটা হাজির না থাকলেও রক্ষণশীল গণমাধ্যমে বেশ সরব। কিন্তু একসময় খবরের ধারা প্রভাবিত করার যে ক্ষমতা তাঁর ছিল, এখন আর তা নেই। ফলে জাতীয় রাজনীতি প্রভাবিত করার সক্ষমতা তিনি অনেকটাই হারিয়ে ফেলেছেন। ফলে সম্প্রতি টুইটারের অ্যাকাউন্ট ফিরে পাওয়ার জন্য তিনি মামলা করেছেন।
নতুন এই কোম্পানি গঠনের ক্ষেত্রে ট্রাম্পের দোসর হচ্ছে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড অ্যাকুইজিশন কোম্পানি। এটি নতুন ধারার কোম্পানি, যারা অনেকটা তরকারির আলুর মতো যেকোনো উদ্যোগে টাকা খাটায়। এরা আবার সাধারণের কাছে শেয়ার বিক্রি করে নতুন বিনিয়োগ করে থাকে। উল্লেখযোগ্য ব্যাপার হলো, ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে জেতার পর এই কোম্পানি গঠিত হয়।
ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড ইতিমধ্যে মার্কিন শেয়ারবাজারে নিবন্ধিত হয়েছে। নাসডাক সূচকের অন্তর্ভুক্ত এই কোম্পানির শেয়ার গত মাসে লেনদেনও হয়েছে। আইপিও বা প্রাথমিক গণপ্রস্তাব থেকে তারা ২৮ কোটি ৩০ লাখ ডলার তুলেছে। এরপর প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে তারা আরও ১ কোটি ১০ লাখ ডলার তুলবে বলে জানিয়েছে।
এদিকে এক বিবৃতিতে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, বর্তমান পৃথিবীতে টুইটারে তালেবানের ব্যাপক উপস্থিতি আছে। অথচ আমেরিকানদের প্রিয় প্রেসিডেন্টকে চুপ করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
ফলে বোঝাই যাচ্ছে, নতুন মিডিয়া কোম্পানি খুলে আরেকবার তুলকালাম বাধানোর পাঁয়তারা করছেন ট্রাম্প।
আরো পড়ুন:
কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামাতে ১৮০ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে সৌদি