ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু বাংলা: চারটি পা ছিলো না কুকুরটির। বয়স তখন আনুমাণিক ভাবে ৩ বছর। সঙ্কটজনক অবস্থায় তাকে পাওয়া যায় রাশিয়ার ক্রাসনোডর শহরের কাছে এক জঙ্গলে। অনুমান, পৈশাচিক নৃসংসতায় কেউ তার চারটে পা-ই কেটে নিয়েছিল। খবর সিএনএনএ’র।
ক্রাসনোডর শহরের বাসিন্দা পশুপ্রেমী আলা লিওনকিনা মনিকা নামের কুকুরটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যান নিজের বাড়িতে। তার পর এক বছর ধরে আলা এবং তার এক বন্ধু দেখাশোনা করেন মনিকার।
এই অবস্থায় আলা জানতে পারেন সাইবেরিয়া প্রদেশের নোভোসিবির্স্ক শহরের পশুচিকিৎসক সের্গেই গোর্শকোভের কথা। প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে মনিকাকে নিয়ে আলা পৌঁছেন সের্গেইয়ের কাছে। তার পর সের্গেইয়ের তত্বাবধানে শুরু হয় দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রক্রিয়া ও জটিল অস্ত্রোপচারের প্রস্তুতি।
সের্গেই জানান, তিনি এর আগে প্রায় ৩০ টি বিড়ালের ক্ষেত্রে কৃত্রিম অঙ্গ প্রতিস্থাপন করেছেন। কিন্তু এই প্রথম কোনও কুকুরের দেহে চারটি কৃত্রিম পা যুক্ত করলেন। তার কথায়, মনিকার সুস্থ হয়ে ওঠার পিছনে ভাগ্য এবং অভিজ্ঞতা, দুই-ই কাজ করেছে।
মনিকার চিকিৎসা ও অস্ত্রোপচারের পিছনে বিপুল অঙ্কের অর্থ ব্যয় হয়েছে। তার বড় অংশই এসেছে ক্রাউড ফান্ডিং থেকে। এমনকি, কৃত্রিম অঙ্গ টাইটানিয়াম লেগ-এর খরচও যোগান দিয়েছে ক্রাউড ফান্ডিং৷ চিকিৎসক সের্গেই জানিয়েছেন, মনিকার শরীরে হাড়ের অংশ বৃদ্ধি পাবে। তার পর সে কৃত্রিম পায়ের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে যাবে৷ নতুন জীবনের সঙ্গে সে খুব তাড়াতাড়ি অভ্যস্ত হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক।
আরো পড়ুন:
ক্রিসমাস দ্বীপের রাস্তায় লাখ লাখ কাঁকড়া, থমকে আছে গাড়ি