নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: নওগাঁর হাটে উঠতে শুরু করেছে আগাম জাতের আমন ধান। হাটগুলোতে বেড়েছে সরবরাহ। সপ্তাহের ব্যবধানে এসব হাটে মণপ্রতি ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়েছে দাম। ধানের বাড়তি দরে কৃষকরা খুশি। তবে টেকসই বাজার নিশ্চিত করতে প্রশাসনের তদারকি চান তারা।
নওগাঁয় ভোরের আলো ফুটতেই মাঠ থেকে কেটে তোলা ধান বিক্রির জন্য মহাদেবপুর হাটে নিয়ে আসেন চাষিরা। এতে কেনাবেচাও হয়ে ওঠে জমজমাট।
এবার মৌসুমের শুরুতেই ব্যবসায়ীরা বেশ চড়া দামে ধান সংগ্রহ করছেন এবং ভালো দর পেয়ে খুশি চাষিরাও।
কৃষকরা বলেছেন, এক হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি করেছি। ধানের ফলনও ভালো। এ রকম থাকলে, আমরা বেশ লাভবান হব। তবে যখন আমদানি বেশি হয়ে যায়, তখন ব্যবসায়ীরা দাম কমিয়ে দেন। এক্ষেত্রে সরকারের তদারকি দরকার, যেন দাম না কমে।
বাজারে আগাম জাতের ধানের দর কিছুটা বাড়লেও চিনি আতপের দর কমতির দিকে।
নওগাঁর এ হাটে প্রতি মণ কাটারিভোগ ১ হাজার ৩২০ টাকা, মিনিকেট ১ হাজার ৩০০ টাকা, লম্বা জিরা ১ হাজার ৩২০ টাকা, গোল্ডেন আতপ ১ হাজার ৩৫০ টাকা, চিনি আতপ ১ হাজার ৬২০ টাকা এবং আগাম আমন ৯২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, মিল পর্যায়ে ধানের মজুত নিশ্চিত করতে চড়া দামে কিনতে হচ্ছে তাদের। নওগাঁর মহাদেবপুর হালিমা অটোমেটিক রাইস মিলের মো. জহুরুল ইসলাম বলেছেন, নতুন ধানের সরবরাহ ধীরে ধীরে বাড়ছে। মোটামুটি দাম ভালো পাচ্ছেন কৃষকরা। আগামীতে দাম আরও বাড়বে।
প্রাথমিক পর্যায়ে দাম বেশি উল্লেখ করে ধান ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন বলেছেন, ১ হাজার ৩০০ টাকার ধান ১ হাজার ৪০০ টাকা দিয়ে কিনতে হয়েছে। ১০০ টাকা বেড়ে গেছে। তবে সার্বিক অনুপাতে দাম ভালোই রয়েছে।
এবার প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ নানা সমস্যা কম থাকায় ধানের ভালো ফলনের আশা করছে কৃষি বিভাগ।
নওগাঁর মহাদেবপুরের কৃষি অফিসার অরুণ কুমার জানিয়েছেন, বিগত বছরের তুলনায় এবার আবহাওয়া ভালো ছিল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকার কারণে এবার ফলন মোটামুটি ভালো হয়েছে। এখনো উফশী জাতের ধানকাটা শুরু হয়নি। আমরা দেখছি যে ভালো ফলন। আমাদের ফসল কাটা শুরু হলে, আমরা বলতে পারব কেমন ফলন হয়েছে।
চলতি আমন মৌসুমে ১ হাজার ৮০ টাকা মণ দরে ধান কেনার ঘোষণা দেয় সরকার। চলতি মৌসুমে জেলায় ১ লাখ ৯৮ হাজার হেক্টর জমি থেকে সাড়ে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান পাওয়ার আশা করছে কৃষি বিভাগ।
আরো পড়ুন:
২৫০ উপজেলায় অ্যাপের মাধ্যমে কেনা হবে কৃষকের আমন ধান