ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ৯৯ রানে অপরাজিত তখন পারটেক্সের হাসানুজ্জামান। এ সময় ওল্ড ডিওএইচএসের আনিসুল ইসলাম অফ স্টাম্পের বাইরে দিলেন এক ফুলটস। সেঞ্চুরি তুলে নিতে খুব কষ্ট হলো না হাসানুজ্জামানের। কাভারে বলটি ঠেলেই পৌঁছে যান তিন অঙ্কের ম্যাজিক সংখ্যায়। উদ্যাপনটাও করলেন নিজের মতো করে। তবে হাসানুজ্জামান কি ওই মুহূর্তে জেনেছিলেন যে তিনি সেঞ্চুরি করে পেছনে ফেলেছেন তামিম ইকবালকে। তিনি এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান।
দ্রুততম সেঞ্চুরিয়ান অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ দলের সদস্য পারভেজ হোসেন। গত বছর বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে ফরচুন বরিশালের হয়ে মাত্র ৪২ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন পারভেজ। তার আগ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ডটা ছিল তামিমের। ২০১৯ সালে বিপিএল ফাইনালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের হয়ে তামিম ৬১ বলে খেলেছিলেন ১৪১ রানের ইনিংস। সেখানে ৫০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন তিনি। এবার দ্রুততম সেঞ্চুরিতে তামিমকে তিনে নামিয়ে আনলেন ৩০ বছর বয়সী হাসানুজ্জামান।
আজ সেঞ্চুরির পথে ৩৯ বলে ৮৯-এ পৌঁছে গিয়েছিলেন হাসানুজ্জামান। সুযোগ ছিল পারভেজের রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার। কিন্তু পরের ১১টি রান করতে তিনি খেলে ফেললেন আরও ৯টি বল। ৫২ বলে ১১টি চার আর ৭ ছক্কায় ১০৫ রান করে শেষ পর্যন্ত থেমেছেন তিনি। এর আগে তিনি ফিফটি পূরণ করেছিলেন ২৫ বলে।
এমন একটা ইনিংস খেলেও পারটেক্সকে জেতাতে পারেননি হাসানুজ্জামান। ওল্ড ডিওএইচএসের করা ১৯৯ রানের জবাবে পারটেক্স নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৭৬ রানের বেশি করতে পারেনি।
এর আগে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি করেন শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, তামিম ইকবাল, এনামুল হক, সাব্বির রহমান, নাজমুল হোসেন, পারভেজ হোসেন, মোহাম্মদ নাঈম ও মিজানুর রহমান। এবারের প্রিমিয়ার লিগের প্রথম সেঞ্চুরিটি এসেছে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ওপেনার মিজানুর ব্যাট থেকে। আজ মিজানুরের পাশে নাম লেখালেন হাসানুজ্জামান।