ক্রীড়া প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: ওদিকে পাকিস্তান ধবলধোলাই হয়েছিল ইংল্যান্ডের ‘দ্বিতীয় সারি’র দলের কাছে। সেখানেও ছিল করোনাভাইরাসের আঘাত। শ্রীলঙ্কা সফরে থাকা ভারত দলটি দ্বিতীয় সারির কি না, সে নিয়েও হয়েছে তর্ক-বিতর্ক। অর্জুনা রানাতুঙ্গা তো বলেই দিয়েছিলেন, ভারতের এমন দলের সঙ্গে সিরিজ খেলা শ্রীলঙ্কা দলের জন্য ‘অপমানজনক।’
তবে প্রসঙ্গ যখন মাঠের লড়াইয়ের, তখন ভারতের ওই ‘দ্বিতীয় সারি’র দলের কাছেই উড়ে গেল শ্রীলঙ্কা। করোনভাইরাসের কারণে পিছিয়ে যাওয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে শিখর ধাওয়ানের দলের কাছে স্বাগতিকরা হেরেছে ৭ উইকেটের বড় ব্যবধানে, সেটিও ৮০ বল বাকি থাকতেই।
কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া শ্রীলঙ্কার ইনিংসে ২৪-পেরোনো ইনিংস ছিল ছয়টি, তবে ফিফটি নেই একটিও। সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ৪৩ রানের। কোনো জুটি পেরোতে পারেনি ৪৯ রানের বেশি। ফল – ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৬২ রানের বেশি তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। সেটিও সম্ভব হয়েছে আটে নামা চামিকা করুনারত্নের ১ চার ও ২ ছয়ে ৩৫ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে। ইনিংসের শেষ ২ ওভারেই এসেছিল ৩২ রান।
এর আগে নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা। কুলদীপ যাদব, যুজবেন্দ্র চাহাল, ক্রুনাল পান্ডিয়া দাঁড়াতে দেননি তাদের। এরপর দীপক চাহার, হার্দিক পান্ডিয়ারা সেরেছেন বাকি কাজ। চরিথ আসালাঙ্কা করেছেন ৩৮ রান, তবে খেলেছেন ৬৫ বল। নতুন অধিনায়ক দাসুন শনাকা ৩৯ রান করেছেন ৫০ বলে।
চাহার, চাহাল ও যাদব নিয়েছেন ২টি করে উইকেট। ১টি করে নিয়েছেন ক্রুনাল ও হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ক্রুনাল ১০ ওভারে খরচ করেছেন মাত্র ২৬ রান। ভারতের বোলারদের মধ্যে ভুবনেশ্বর কুমার অবশ্য একটু খরুচে ছিলেন, ৯ ওভারে তিনি দিয়েছেন ৬৩ রান। ৫ ওভারে ৩৪ রান দিয়েছেন হার্দিকও।
ভারতের রান তাড়ায় শ্রীলঙ্কা প্রথমে পড়েছিল পৃথ্বী শ-র কবলে। ৬ষ্ঠ ওভারে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার বলে শ আউট হওয়ার সময় ভারতের রান ছিল ৫৮, এর মাঝে ৪৩ রানই শ-র। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে মেরেছিলেন প্রথম চার, এরপর ছন্দে থাকা শ-এর মতো করেই এদিন মেরেছেন আরও ৮টি চার। শ-কে আটকে দিয়ে একটু যে হাঁফ ছেড়ে বাঁচবে শ্রীলঙ্কা, হয়নি সেটিও। এবার তাদেরকে চূর্ণ করেছেন ইশান কিষান।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মুখোমুখি হওয়া প্রথম বলেই ছক্কা মারার পরের বলে চার মেরেছেন অভিষিক্ত তরুণ, ১৮তম ওভারে ফেরার আগে ৫৯ রান করেছেন ৪২ বলে। মাত্র ৩৩ বলেই ফিফটি করেছিলেন, ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়।
এরপর কিছুক্ষণ ধীরগতিতে এগিয়েছে ভারতের ইনিংস। অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান অবশ্য চড়াও হয়েছেন খানিক বাদেই। ফিফটি করতে তাঁর লেগেছিল ৬১ বল, তবে সুযোগ পেলেই খেলেছেন শট। তাঁকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেওয়ার ফিরেছেন মনিশ পান্ডে, ৪০ বলে ২৬ রান করে।
ধাওয়ান অবশ্য ছিলেন শেষ পর্যন্ত, ৯৫ বলে ৮৬ রানের অপরাজিত ইনিংসে তিনি মেরেছেন ৬টি চারের সঙ্গে একটি ছয়। আরেক অভিষিক্ত সূর্যকুমার যাদব শেষদিকে খেলেছেন ২০ বলে ৫ চারে ৩১ রানের ক্যামিও।