আইন আদালত

দেশে ফিরেই জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়লেন ডা. মুরাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: কানাডার পর দুবাইয়ে ঢুকতে চেয়েও ব্যর্থ হয়ে সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান দেশে ফিরছেন। আজ বিকাল ৫টা ৪ মিনিটে এমিরেটসের ইকে-৫৮৬ নম্বর ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।

বিমানবন্দরে নামার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হয়েছে চিকিৎসা শাস্ত্রে ডিগ্রি অর্জন করা বিতর্কিত এই সংসদ সদস্যকে।

করোনার ডাবল ডোজ টিকার সনদ না থাকলেও কীভাবে বিমানবন্দর দিয়ে কানাডায় গেলেন এসব বিষয় নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন বলে জানা গেছে। অন্যদিকে ট্রানজিটের যাত্রী হওয়ায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের মুখোমুখি হতে হয়েছে সদ্য প্রতিমন্ত্রিত্ব হারানো মুরাদকে।

জানা গেছে, ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে না দেওয়ার জন্য করোনার ডাবল ডোজের টিকার সনদ না থাকাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ। যে কারণেই প্রশ্ন উঠেছে, ভ্যাকসিন সার্টিফিকেট ও কোভিড প্রোটোকল না মেনে মুরাদ কীভাবে ঢাকা বিমানবন্দর থেকে কানাডায় গেলেন?

এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসানকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা।

জবাবে তৌহিদ-উল আহসান বলেন, বিমানবন্দর দিয়ে যে যাত্রীই বাইরের দেশে যান, সেসব বহির্গমন যাত্রীদের স্বাস্থ্য সনদ চেক করা, ভ্যাকসিনেশন সার্টিফিকেট চেক করার দায়িত্ব সিভিল এভিয়েশনের। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের নয়। আমরা ইমিগ্রেশন করি, যাত্রীদের সেবা দেই। ইমিগ্রেশন শাখা ইমিগ্রেশন করবে, স্বাস্থ্যের কাজ স্বাস্থ্য করবে। মুরাদ সংক্রান্ত তথ্য জানতে হলে আপনাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষকে প্রশ্ন করলে তারা ভালো উত্তর দিতে পারবেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এবং ইমিগ্রেশনের লোকজন কানাডায় যাওয়া-আসার বিষয় নিয়ে মুরাদ হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের কথা জানিয়েছেন বিমান প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলীও।

আরো পড়ুন:

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হল মুরাদসহ ২ জনের নামে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *