নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: রাশিয়ার পর এবার দেশে চীনের করোনা টিকা “সিনোভ্যাক”-এর জরুরি অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এছাড়া এক সপ্তাহের মধ্যে আসবে চীনের দেয়া উপহারের ৫ লাখ ডোজ টিকা। এরপর দুই সপ্তাহের মধ্যে এই টিকার প্রয়োগ শুরু হবে বলেও জানান ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান মহাপরিচালক।
“এখন পর্যন্ত দুই ডোজ মিলে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আনা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়েছে ৮৩ লাখ মানুষ। সরকারের কাছে মজুত আছে আরও ২০ লাখ। ভারতে করোনাভাইরাসের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতির কারণে সেরাম থেকে আনা অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা সময়মতো পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে চলতি মাসের শুরু থেকেই।”
আরোও পড়ুন: রোগ প্রতিরোধের শক্তিশালী উৎস নিম
এ পরিস্থিতিতে সংকট কাটাতে সরকারের নানামুখী পদক্ষেপ চলতি সপ্তাহের শুরু থেকেই চোখে পড়েছে। গত মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি জরুরি আমদানি ও ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
“তবে শুধু অ্যাস্ট্রাজেনেকা আর স্পুটনিক-ভি নয়, যুক্তরাষ্ট্রের ফাইজার, মডার্না, জনসন অ্যান্ড জনসন, চীনের সিনোফার্ম ও সিনোভ্যাক এই ছয়টি টিকা জরুরি অনুমোদন দিতে সরকারকে সুপারিশ করেছে কমিটি।”
এ পর্যায়ে রাশিয়ার টিকা স্পুটনিক-ভি’র পর এবার চীনের সিনোফার্মা ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। মহাপরিচালক জানান, “সিনোফার্মা ভ্যাকসিন এরই মধ্যে ৫ লাখ ডোজ উপহার দিয়েছে চীন। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সিনোফার্মা প্রয়োগ শুরু হবে।”
মহাপরিচালক বলেন, “এ মাসের ২৭ তারিখে আমরা স্পুটনিক-ভি জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছি। আর আজকে আমরা চীনের সিনোভ্যাক টিকার জরুরি অনুমোদন দিয়েছি।”
এদিকে, করোনা থেকে বাঁচতে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাইরে চলাচলের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। আজ বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ২৪তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচনাসভায় অনলাইনে যোগ দিয়ে এ কথা বলেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, “লকডাউন করোনা থেকে রক্ষা পাওয়ার দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে না; এর জন্য সবার ভ্যাকসিন নেয়া জরুরি।”
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন আমরা ভ্যাকসিনে দেয়ার চেষ্টা করেছি। পরে ভ্যাকসিনটা আমরা মাঝপথে গিয়ে আর পাচ্ছি না। আমাদের সব টাকা-পয়সা দেয়া আছে কিন্তু ভ্যাকসিনটা আমরা পাচ্ছি না, এটা আপনারা সবাই জানেন। এখন আমরা রাশিয়া ও চায়নার ভ্যাকসিন অনুমোদন দিয়েছি যেন আমরা ভ্যাকসিন কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারি।” “প্রথম ডোজ যে ভ্যাকসিন দিয়ে নেয়া হবে, দ্বিতীয় ডোজও সেই ভ্যাকসিন দিয়ে নেয়ার” পরামর্শ দেন মন্ত্রী।