নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: লকডাউনে আটকে পড়া বিদেশগামী যাত্রীদের বিশেষ ব্যবস্থায় পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) তিনি জানান, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, ওমান ও সিঙ্গাপুরে এই ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) ফ্লাইট শিডিউলসহ অন্যান্য বিষয়ে জানা যাবে বলেও জানান তিনি।
সরকার ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞার কারণে ১৪ এপ্রিল রাত ১২টা থেকে আন্তর্জাতিক সকল ফ্লাইট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। এতে ২১ হাজার কর্মীর বিদেশ যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বিদেশ গমনেচ্ছু কর্মীরা আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হবেন এমন আশঙ্কার কথা জানিয়ে গতকাল ১৩ এপ্রিল সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) ও অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্টস অব বাংলাদেশ (আটাব)সহ কয়েকটি সংগঠন।
বায়রার সাবেক তথ্য সচিব ফখরুল ইসলাম তখন বলেন, যখন সৌদি আরব, কাতার, ওমান, দুবাইসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু করছে যেখানে আমরা ফ্লাইট বন্ধ করছি। হঠাৎ এমন আত্মঘাতী সিদ্ধান্তের ফলে আমাদের কর্মীদের টিকেট প্রতি প্রায় ৭০-৯০ হাজার টাকা নষ্ট হবে। যেমন দুবাই তাদের টিকেটের টাকা ফেরত দেবে না। জনশক্তি খাতকে বাঁচানোর জন্য সরকার ঘোষিত কঠোর নিষেধাজ্ঞা চলাকালে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখতে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
সৌদি আরব থেকে ছুটিতে দেশে আসা আমির হোসেন বলেন, আমার রিটার্ন টিকেটে কাটা আছে। চলতি মাসের ১৯ তারিখে ফেরত যাওয়ার কথা ছিলো। এখন যদি ১৪ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত ফ্লাইট বন্ধ থাকে তাহলে কী ব্যবস্থা নেয়া হবে তা জানতে এসেছি। বিমান অফিস থেকে জানানো হয়েছে বিষয়টি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।
তার মতো আরো রয়েছেন নতুন করে বিদেশ যেতে ইচ্ছুক কিশোরগঞ্জের মুন্না, চাঁদপুরের হৃদয়। কিন্তু তারা কেউ জানেন না, কবে হবে তাদের ফ্লাইট, টিকেটের টাকা ফেরত পাবেন নাকি নতুন করে আবারও টিকেট কিনতে হবে।
বায়রার সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট আবুল বারাকাত ভূইয়া বলেন, বিদেশগামী কর্মীরা কোভিড টেস্ট করেই বিমানে যাত্রা করেন। এ অবস্থায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে গার্মেন্টস খোলা রাখা গেলে কেন রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের বিদেশে পাঠানো যাবে না। ছুটিতে আসা প্রবাসী ও নতুন ভিসাপ্রাপ্তদের যাতায়াত সুবিধার জন্য লকডাউনেও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট সচল রাখার দাবি জানান তিনি।