নিখিল মানখিন, ধূমকেতু বাংলা: করোনা ভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে দেশের সোয়া ১০ কোটির বেশি মানুষ, যা মোট জনসংখ্যার ৬১ শতাংশ। গত ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই টিকা প্রাপ্তদের মধ্যে প্রথম ডোজ ৩৮.৬২ শতাংশ মানুষ এবং দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ২৩ শতাংশ মানুষ। স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, ২০২১ সালের ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশের ১০ কোটি ৩২ লাখ ২৯ হাজার ৯৯৭ জন ১ম ও ২য় ডোজ টিকা পেয়েছে। এর মধ্যে ১ম ডোজ পেয়েছে ৬ কোটি ৫৩ লাখ ১৩ হাজার ৯৪০ জন এবং ২য় ডোজ টিকা পেয়েছে ৩ কোটি ৭৯ লাখ ১৬ হাজার ৫৭ জন।
বর্তমানে দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এমএসভিএবি (৩য়) প্রকল্পের প্রতিবেদনে ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিক ২০২০’ প্রকাশনায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রকাশনায় জানানো হয়েছে, ২০২১ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত দেশে মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৯১ লাখ ১ হাজার।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, গত ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত দেশে করোনায় শনাক্তকৃত মোট রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৭ হাজার ২৪৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে মোট ২৭ হাজার ৯৯৫ জনের। সুস্থ হয়েছে ১৫ লাখ ৪২ হাজার ৪৮ জন। পরীক্ষিত মোট নমুনার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৯ লাখ ৬২ হাজার ৪৬০টি।
স্বাস্থ্য অধিদফতর জানায়, দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। তার ১১ মাস পর এ বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি সরকারিভাবে দেশে করোনাভাইরাসের টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। প্রথম অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি টিকা দিয়ে এ কার্যক্রম শুরু হলেও বর্তমানে ফাইজার-বায়োএনটেক, সিনোফার্ম এবং মডার্নার টিকা দেওয়া হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা ১ম ডোজ ১ কোটি ২১ লাখ ৪০ হাজার ২৮২ জন ও ২য় ডোজ ৬৯ লাখ ৩৯ হাজার ৫৯৯ জন পেয়েছে।
ফাইজারের টিকা ১ম ডোজ ২৬ লাখ ১৭ হাজার ৫০৬ জন ও ২য় ডোজ পেয়েছে ৭ লাখ ৪৮ হাজার ৪২১ জন।
সিনোফার্মের টিকা ১ম ডোজ ৪ কোটি ৬৯ লাখ ৪১ হাজার ৩০ জন ও ২য় ডোজ পেয়েছে ২ কোটি ৭৬ লাখ ১৬ হাজার ৪৬৭ জন। এভাবে মডার্না টিকার প্রথম ডোজ পেয়েছে ২৭ লাখ ১৫ হাজার ৬১২ জন ও দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছে ২৬ লাখ ২৪ হাজার ৯৩৩ জন।
অপরদিকে, ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত আট কোটির বেশি মানুষ করোনাভাইরাসের টিকার জন্য নিবন্ধন করেছেন। দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ৮০ শতাংশ, অর্থাৎ ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার ৫০৮ জন মানুষকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে সরকার। পাশাপাশি বর্তমানে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদেরও টিকার আওতায় আনা হয়েছে।
আরো পড়ুন: