নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: বয়স শুধুমাত্র যে একটি সংখ্যা তা আরও একবার প্রমাণ করে দিল- রাজশাহীর আয়েশা তাবাসসুম সাবা ও তার বোন সাইবা জাফরিন সারা। দেশের সর্বকনিষ্ঠ সাঁতারু হিসেবে ইতিহাসে নাম লেখালেন মাত্র তিন বছরের সারা ও ছয় বছর বয়সী সাবা।
অক্টোবরে অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ৩৪তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার ও ড্রাইভিং প্রতিযোগিতায় তারা এ অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছে। বিভিন্ন বয়সী সাঁতারুদের পাঁচটি গ্রুপে ৬০০ জন সাঁতারুর মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ সাঁতারু হিসেবে পদক জিতেছে তারা। প্রতিযোগিতার ‘অনুর্ধ্ব ১০’ ইভেন্টে ৫০ মিটার ও ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল ইভেন্টে অংশ নিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন এই দুই বোন।
সারা ও সাবা রাজশাহী মহানগরীর পদ্মা আবাসিক এলাকায় থাকে। তাদের বাবা মো. দস্তগীর আব্দুল্লাহ রাজশাহীর ‘দস্তগীর বেঙল মার্শাল আর্ট অ্যাকাডেমি’র প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক।
তাদের মা মারুফা খাতুনও সেখানে প্রশিক্ষক হিসেবে রয়েছেন। খেলাধুলার ব্যাপারে তাদের ব্যাপক আগ্রহ। ছোটবেলা থেকেই বাবা-মায়ের পর্যবেক্ষণে অ্যাথলেটিক্স প্রশিক্ষণ নিয়েছে তারা। বাবা-মায়ের কাছে কারাতের প্রশিক্ষণও পেয়েছে সারা-সাবা। সাবা অর্জন করেছে ব্ল্যাক বেল্ট। আর সারা পেয়েছে অরেঞ্জ বেল্ট।
সারা ও সাবার দীর্ঘদিনের পরিশ্রমের ফল এই পদক। নিজেদের বেশ ভালোভাবে প্রস্তুত করেই তারা অংশ নেন প্রতিযোগিতায়। প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়া শিশুদের মধ্যে সবচেয়ে অল্প সময়ের মধ্যে তারা সাঁতার শিখছেন। কেবল ২২টি ক্লাসেই তারা সাঁতার রপ্ত করেন।
সারা ও সাবার বাবা-মায়ের ধারণা, তাদের সন্তানরা একদিন দেশ সেরা সাঁতারু হবেন। আপাতত সেই লক্ষ্যেই তাদের তৈরি করতে চান এই দম্পতি। তাদের বাবা মো. দস্তগীর আব্দুল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, আমার দুই মেয়ের সাফল্যে আমি অনেক আনন্দিত।
এদিকে, সাবা ও সারার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন রাজশাহীর জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি আবদুল জলিল। ১২ অক্টোবর সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই ক্ষুদে সাঁতারুদের পুরস্কৃত করেন। এ সময় তাদের বিশ্বমানের খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তুলতে জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিল বলেন, সাঁতারু সাবা ও সারা রাজশাহীর গর্ব। তাদের ঠিকমতো ট্রেনিং দেওয়া হলে রাজশাহীর জন্য মর্যাদা ও সম্মান বয়ে আনবে।
আরো পড়ুন: