নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: চারদিকে কুয়াশার মৃদু আবরণ, নতুন ধানের মিষ্টি গন্ধ আর শীতের আগমনী বারতা নিয়ে দুয়ারে হাজির হেমন্ত। সূচনা হলো সোনার ফসলে ভরা হেম হাসির ঋতুর। হেমন্তকে ঘিরে এক সময়ের নবান্নের পিঠা-পুলির উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়লেও ছাতিমের মন মাতানো গন্ধ আর প্রকৃতির স্নিগ্ধতা এরই মধ্যে হৃদয় কেড়েছে প্রকৃতিপ্রেমিদের।

সাম্রাজ্য হয়তো মানুষের তবে আজ রাজার মুকুট মাথায় প্রকৃতি। ভোরের কুয়াশার কাছে হার মানে তেজোদীপ্ত সূর্য। ধানের বুড়ো পাতায় লেগে থাকা শিশির কণার মুগ্ধতা দূরন্ত ঘাসফড়িংকেও করে দেয় শান্ত। ওদিকে আট পাওয়ালা জেলে কুয়াশার জলে নিজেরই তৈরি জাল ধুয়ে নিয়ে শুরু করে নতুন দিন।

কোথাও ফসলহীন ক্ষেতের আলপথে পাখা মেলে জংলি ফুল। পথে পথে সবুজ বুনোলতায় পতঙ্গের খুনসুটি। তবে নিজের অজান্তেই হয়তো সবার মন কেড়ে নিয়ে বসে আছে ছাতিম। ঘিয়ে রাঙা থোকা থোকা ফুলের গন্ধে মাতাল হওয়ার জো। মাটিতে লুটোপুটি খাওয়া পাপড়ি যেন মাতাল পথিককে কাছে ডাকছে অবিরত।

c

মানুষ ও প্রকৃতিকে এভাবেই আলাগোছে ছুঁয়ে দিয়ে হেমন্ত আসে। আসে অনেকটা চুপিসারে। শুরুটা তার শরতের উষ্ণ উজ্জ্বলতায়, শেষটা চলে যায় শীতের শরীরে।

কার্তিকের বাতাসে ভেসে বেড়ানো ধানী গন্ধ বারতা দেয় নবান্নের। তবে দিনে দিনে বদলেছে গ্রাম বাংলার চিরায়ত এই হিসেব। প্রকৃতির কার্পণ্য না থাকলেও চিত্র পাল্টেছে কৃষকের ঘরে ও মাঠে।

শরতের শুভ্রতা শেষে হেমন্ত বাংলার মাটি ও জলকে করে সমৃদ্ধ। মানব মনে জাগিয়ে তোলে ভাব ও বাঙালিয়ানা।

হেমন্তের নীল আকাশের বুকে স্বপ্নের ওড়াওড়ি শুরু না হতেও নরম রোদকে আরো নরম করে দিয়ে আগমন ঘটবে শীতের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *