শিল্প ও বাণিজ্য

দুর্যোগ মহামারিতে সুদ-জরিমানা ছাড়া মূসক রিটার্ন দাখিল করা যাবে

ধূমকেতু প্রতিবেদক: প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি ও জরুরি অবস্থায় সময় বাড়িয়ে সুদ ও জরিমানা ছাড়া রিটার্ন দাখিলের সুযোগ রেখে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক (সংশোধন) আইন, ২০২০’-এর খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

বৃহস্পতিবার (৭ মে) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভপতিত্বে সীমিত পরিসরে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, করোনা ভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব প্রতিরোধে সরকার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। সরকারের রাজস্ব আহরণ কার্যক্রম গতিশীল রাখতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক এ দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতিতে করদাতাদের মাসিক ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিল করার সুবিধার্থে গত ১২ থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সারাদেশে সব ভ্যাট সার্কেল অফিস সীমিত পরিসরে খোলা রাখা হয়েছিল। এ সত্ত্বেও দুর্যোগপূর্ণ পরিস্থিতির কারণে দেশের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান যথাসময়ে রিটার্ন দাখিল করতে পারেনি।

‘বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজসহ (এফবিসিসিআই) আরও কিছু সংগঠন জরিমানা ব্যতিত মূল্য সংযোজন কর রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা বর্ধিতকরণের জন্য আবেদন করেছে। সামগ্রিক বিবেচনায় জনস্বার্থে এ দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে মূল্য সংযোজন কর রিটার্ন দাখিলের নির্ধারিত সময়সীমা বর্ধিত করার প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি, ব্যবসা-বাণিজ্য সহজীকরণ এবং পদ্ধতিগত জটিলতা নিরসনকল্পে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সময়ে সময়ে বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। তবে ‘মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২’ তে সময় বৃদ্ধির কোনো সুযোগ না থাকায় এপ্রিল থেকে কার্যকারিতা দিয়ে মূল্য সংযোজন কর সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ এর ধারা ৬৪ এর উপ-ধারা (২) এর উপ-ধারা সংযোজন করা হয়েছে। ‘(৩) উপ-ধারা (১) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, মহামারি ও জরুরি অবস্থার কারণে জনস্বার্থে বোর্ড সুদ ও জরিমানা পরিশোধ ব্যতিত দাখিলপত্র পেলে সময়সীমা বর্ধিত করিতে পারিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *