পেশাই গোটা জীবন নয়। পরিবার পরিজনকে অগ্রাধিকার দিতে চান অনিল। উপভোগ করছেন দাদু হতে চলার প্রতিটি মুহূর্ত। এ-ও জীবনের এক নতুন অধ্যায়।

সহকর্মীরা বলেন, যত ক্ষণ সেটে থাকেন সকলকে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাওয়ান অভিনেতা অনিল কপূর। তিনি এমনই মজাদার মানুষ। সদ্য মুক্তি পাওয়া ছবি ‘যুগ যুগ জিয়ো’-তে দর্শকেরও মন কেড়েছেন রসিকতায়। ‘অ্যানিমাল’-ও আসতে চলেছে সামনে। ৩৯ বছরের অভিনয় জীবনে কত কিছুই যে পাওনা হল অনিলের! স্মৃতিকাতরতায় প্রায়শই ভোগেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বললেন, “দারুণ লাগছে জীবন। বড়ই উপভোগ্য। বিশ্বাসই করতে পারছি না, ‘যুগ যুগ জিয়ো’-র ঠিক ৩৯ বছর আগে ‘ওহ্ সাত দিন’ করেছিলাম। দুটো ছবিতেই আমি পটিয়ালা থেকে আসা মানুষের চরিত্রে অভিনয় করেছি। আশ্চর্য মিল!’’

তবে শুধুই কি অভিনয় জীবনের তৃপ্তি? ব্যক্তিগত জীবনেও খুশির জোয়ার এখন অনিলের। দাদু হতে চলেছেন শীঘ্রই। অন্তঃসত্ত্বা সোনম কপূর আর কিছু দিনের মধ্যেই সন্তানের জন্ম দেবেন। সেই আনন্দে কপূর পরিবারেও ভরপুর উত্তেজনা

বজায় রয়েছে। ঘর আর বাইরে কেমন করে সামাল দিচ্ছেন অনিল? সে কথা জিজ্ঞেস করতেই ফের সরস মন্তব্য অভিনেতার।

বললেন, “জীবনের সমস্ত পর্যায় আমি উপভোগ করেছি। এটাও করছি। আমি যখন বিয়ে করতে গিয়েছিলাম সবাই বলেছিল, এত তাড়াতাড়ি বিয়ে কোরো না, কিন্তু আমি করেছি। যখন আমার সন্তান হল, সবাই বলল— এত তাড়াতাড়ি নিলে? কিন্তু আমি আমার বাচ্চাদের বড় করেছি, বন্ধুর মতো মিশেছি। কারণ আমি জানতাম, পেশা আমার জীবনের অংশ, গোটা জীবন নয়।” ‘মিস্টার ইন্ডিয়া’ ছবিতে যেমন বাচ্চাদের সঙ্গে অনায়াসে মিশে গিয়েছিলেন অনিল, তেমনই কি নাতি বা নাতনির সঙ্গেও তাঁকে দেখা যাবে? এখন তারই অপেক্ষা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *