নিখিল মানখিন, ধূমকেতু ডটকম: জটিল ও ব্যয়বহুল থ্যালাসেমিয়া রোগের বিষয়ে আরো বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। তারা বলছেন, থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্তদের অধিকাংশই চিকিৎসা ও চিকিৎসা খরচ মেটাতে  না পেরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। থ্যালাসেমিয়ার জীন বহন করছে, দেশে এমন মানুষের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি। এ রোগে আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা সাড়ে তিন লাখ। বংশগত এই রোগ নিয়ে প্রতি বছর দেশে সাত হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে।

থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগী- দুটি এক জিনিস নয়। থ্যালাসেমিয়ার বাহকেরা এ রোগে আক্রান্ত নন। থ্যালাসেমিয়ার দুই জন বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে কিংবা তাদের মধ্যে মিলনের ফলে জন্ম নেয়া সন্তানের থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এই রোগের চিকিৎসা হচ্ছে যতদিন বাঁচবেন, ততদিন নিয়মিত নতুন রক্ত গ্রহণ করতে হবে কিংবা বোনমেরো প্রতিস্থাপন করাতে হবে।

থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মো: আবদুর রহিম বলেন, দেশে রক্তশূন্যতাজনিত রোগ থ্যালাসিমিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। এ রোগের চিকিৎসা খুবই ব্যয়বহুল। কোনো পরিবারে একজন থ্যালাসিমিয়ায় আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা করাতে সে পরিবারটি অর্থনৈতিকভাবে পঙ্গু হয়ে যায়। তাই বিয়ের আগে ছেলেমেয়ের রক্ত পরীক্ষা, আত্মীয়-স্বজনদের মধ্যে বিয়ে না করা এবং ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমেই এর প্রতিরোধ করা সম্ভব।

থ্যালাসেমিয়া কোনো সংক্রামক রোগ নয়। আক্রান্ত শিশুদের প্রতি দুই থেকে চার সপ্তাহ পর পর নতুন রক্ত গ্রহণ করে বেঁচে থাকতে হয়। সঠিক ও নিয়মিত চিকিৎসা পেলে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক ও থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত রোগী- দুটি এক জিনিস নয়। থ্যালাসেমিয়ার বাহকেরা এ রোগে আক্রান্ত নন। থ্যালাসেমিয়ার দুই জন বাহকের মধ্যে বিয়ে হলে জন্ম নেয়া সন্তানের থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই সবারই উচিত, রক্তে থ্যালাসেমিয়া আছে কি না, তা পরীক্ষা করা। রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়ার বাহকদের মধ্যে বিয়ে বন্ধ করা দরকার।

জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. গুলজার হোসেন ধূমকেতু ডটকমকে বলেন, থ্যালাসেমিয়া এক ধরনের বংশগত রক্তরোগ। এটি জিনবাহিত রোগ, যা প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হয়। রক্তের লোহিত রক্তকণিকায় থাকে হিমোগ্লোবিন, যার কাজ হলো শরীরের বিভিন্ন অংশে অক্সিজেন সরবরাহ করা। এই হিমোগ্লোবিন তৈরি হয় আলফা চেইন ও বিটা চেইন নামক দুই রকম চেইনের সমন্বয়ে। এর কোনোটায় সমস্যা হলে হিমোগ্লোবিনের উৎপাদন ব্যাহত হয়। তৈরি হয় ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিন।

স্বাভাবিক লোহিত কণিকার আয়ুষ্কাল ১২০ দিন। ত্রুটিপূর্ণ হিমোগ্লোবিনের কারণে লোহিত কণিকার আয়ুষ্কাল কমে যায় এবং লোহিত কণিকাগুলো সহজেই ভেঙে যায়। ফলে শরীরে রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়।  থ্যালাসেমিয়া প্রধানত দুই প্রকার। আলফা থ্যালাসেমিয়া ও বিটা থ্যালাসেমিয়া।  অধিকাংশ ক্ষেত্রে আলফা থ্যালাসেমিয়া তীব্র হয় না। অনেক সময় উপসর্গও বোঝা যায় না, রোগী স্বাভাবিক জীবন যাপন করে। তবে থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত বেশির ভাগ রোগীই বিটা থ্যালাসেমিয়ায় ভুগে থাকে। এই থ্যালাসেমিয়া আবার দুই রকম হতে পারে। যারা বিটা থ্যালাসেমিয়া মাইনরে আক্রান্ত, তাদের থ্যালাসেমিয়ার ক্যারিয়ার বা বাহক বলা হয়।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এদের শরীরে থ্যালাসেমিয়ার লক্ষণ প্রকাশ পায় না। অনেকে অজান্তেই সারা জীবন এই রোগ বহন করে চলে। কখনো মৃদু রক্তস্বল্পতা দেখা দেয়। অপরটি হলো থ্যালাসেমিয়া মেজর। মা ও বাবা উভয়ই থ্যালাসেমিয়ার বাহক হলে শিশুর থ্যালাসেমিয়া মেজরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে শতকরা ২৫ ভাগ। বাহক হওয়ার ঝুঁকি থাকে শতকরা ৫০ ভাগ। 

থ্যালাসেমিয়ার উপসর্গের বিষয়ে ডা. গুলজার হোসেন বলেন, থ্যালাসেমিয়ার উপসর্গগুলো মূলত রক্তস্বল্পতাজনিত উপসর্গ। যেমন ক্লান্তি, অবসাদ, শ্বাসকষ্ট, ফ্যাকাশে ত্বক ইত্যাদি। রক্ত অধিক হারে ভেঙে যায় বলে জন্ডিস হয়ে ত্বক হলুদ হয়ে যায়। প্রস্রাবও হলুদ হতে পারে। প্লীহা বড় হয়ে যায়। যকৃৎও বড় হয়ে যেতে পারে। অস্থির ঘনত্ব কমে যেতে পারে। নাকের হাড় দেবে যায়, মুখের গড়নে পরিবর্তন আসে। শারীরিক বৃদ্ধি ব্যাহত হয়। দিনে দিনে জটিলতা বাড়তে থাকে। 

থ্যালাসেমিয়া চিকিৎসারও আছে প্রতিক্রিয়া। এসব রোগীকে ঘন ঘন রক্ত দিতে হয় বলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই বাড়তি আয়রন জমা হয় হৃদ্‌যন্ত্র, যকৃৎ ও অগ্ন্যাশয়ে। অতিরিক্ত আয়রন জমায় অঙ্গগুলো বিকল হতে শুরু করে। তা ছাড়া বারবার রক্ত পরিসঞ্চালনের কারণে রোগীর রক্তবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। থ্যালাসেমিয়া শনাক্তে রক্তের হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফোরেসিস পরীক্ষা করা হয়। রক্তের রুটিন পরীক্ষা (সিবিসি) থেকে থ্যালাসেমিয়া সন্দেহ করা যেতে পারে।

এছাড়া ডিএনএ পরীক্ষা করেও এই রোগ ধরা যায়।  চিকিৎসা  রক্ত পরিসঞ্চালনই থ্যালাসেমিয়ার মূল চিকিৎসা। শরীরে আয়রন অতিরিক্ত বেড়ে গেলে আয়রন চিলেশনের ওষুধ দিয়ে তা কমাতে হয়। প্লীহা বড় হয়ে গেলে অস্ত্রোপচার করে তা কেটে ফেলতে হয়। এতে রক্ত গ্রহণের হার কিছুটা কমে আসে। অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন হলো এ রোগের স্থায়ী চিকিৎসা। জিন থেরাপিও আরেকটি উন্নত চিকিৎসা। 

প্রতিরোধে করণীয় 

থ্যালাসেমিয়া প্রতিরোধে সচেতনতা খুব জরুরি। বিয়ের আগে রক্ত পরীক্ষা করে দুজন বাহকের মধ্যে বিয়ে এড়াতে পারলে থ্যালাসেমিয়ার হার কমানো সম্ভব। আত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করতে হবে। ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান গর্ভে আসার পর চিকিৎসকের পরামর্শে বিশেষ উপায়ে গর্ভস্থ শিশুর থ্যালাসেমিয়া পরীক্ষা করা যায়।

বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ডা. মাসুদা বেগম বলেন, থ্যালাসেমিয়ার উপসর্গগুলো মূলত রক্তস্বল্পতার কারণে সৃষ্ট উপসর্গ। অর্থাৎ ক্লান্তি, অবসাদগ্রস্ততা, শ্বাসকষ্ট, ফ্যাকাসে হয়ে যাওয়া এসব। রক্ত অধিক হারে ভেঙে যায় বলে জন্ডিস হয়ে ত্বক হলদে হয়ে যায়। প্রস্রাবও হলুদ হতে পারে। প্লীহা বড় হয়ে যায়। যকৃতও বড় হয়ে যেতে পারে। অস্থি পাতলা হয়ে যেতে থাকে। চেহারার বিশেষ পরিবর্তন হয়। নাকের হাড় দেবে যায়। মুখের গড়ন হয় চীনাদের মতো। একে বলে ‘মংগোলয়েড ফেইস’। আস্তে আস্তে দেখা দেয় বিশেষ কিছু জটিলতা। রোগীকে ঘনঘন রক্ত দিতে হয় বলে শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়তে থাকে। এই আয়রন জমা হয় হৃৎপিণ্ডে, যকৃতে, অগ্ন্যাশয়ে। এই পর্যায়টি মারাত্মক।

দেখা যায়, অতিরিক্ত আয়রন জমে যাওয়ার কারেণে অঙ্গগুলো বিকল হতে শুরু করে। এ রকম পরিস্থিতিতে সঠিক চিকিৎসা না পেলে রোগী মারা যেতে পারে। বারবার রক্ত পরিসঞ্চালনের কারণে রোগীরা সহজেই রক্তবাহিত সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। শনাক্তের উপায় ও চিকিৎসা সম্পর্কে বলেন, থ্যালাসেমিয়া শনাক্ত করার উপায় হলো, রক্তের হিমোগ্লোবিন ইলেকট্রোফরেসিস পরীক্ষা। রক্তের রুটিন পরীক্ষা করলে রক্তস্বল্পতার মাত্রা বোঝা যায়। এছাড়া এই রোগে লোহিত কণিকার আকার ছোট হয়ে যায়। রুটিন পরীক্ষায় সেটাও বোঝা যায়। এতে প্রাথমিক সন্দেহটা এখান থেকেও আসতে পারে। এ ছাড়া ডিএনএ পরীক্ষা করেও এই রোগ ধরা যায়। মাথার এক্স-রে, পেটের আলট্রাসনোগ্রাম এগুলোও আছে।

রক্ত পরিসঞ্চালনই থ্যালাসেমিয়ার মূল চিকিৎসা। আয়রন বেড়ে গেলে ওষুধের মাধ্যমে তা কমাতে হবে। আয়রন সমৃদ্ধ খাবার বা আয়রনের ওষুধ খাওয়া একদম নিষেধ। প্লীহা বড় হয়ে গেলে অপারেশন করে সেটা ছোট করে দিতে হয়। এতে রক্ত গ্রহণের হার কিছুটা কমে আসে। মূলত অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন হলো এর স্থায়ী চিকিৎসা। এটা খুবই ব্যয়বহুল।

বোনম্যারো প্রতিস্থাপন :

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানান, বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জা শরীরে একটি বিশেষ স্পঞ্জের মতো ফ্যাটি টিস্যু, যেখানে রক্তের স্টেম সেল থাকে।  এই স্টেম সেলগুলো কিছু বড় হাড়ের মধ্যে থাকে এবং নিজেদের শ্বেত, লোহিত রক্ত কনিকা এবং প্লেটলেটে পরিবর্তিত করে।  বোনম্যারো, মানব শরীরের রক্ত কনিকা তৈরিতে গুরুত্বপূরণ ভূমিকা পালন করে।  থ্যালাসেমিয়া, ব্লাড ক্যান্সার ও ‍জিনগত রোগসহ বেশ কিছু জটিল ও দূরারোগ্য ব্যাধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় অস্থিমজ্জা।  এর প্রভাবে সঠিকভাবে এটি কাজ করে না।  শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে স্বাস্থ্যকর রক্ত কনিকা প্রস্তুত করতেও পারে না।  তখন রোগীকে সুস্থ করে তুলতে অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করতে হয়।

২০১৩ সালের ২২ অক্টোবর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টেশন ইউনিট উদ্বোধন করা হয়। প্রথম ট্রান্সপ্লান্টেশন করা হয় ২০১৪ সালের ১০ মার্চ। চিকিৎসকরা বলছেন, বোনম্যারো প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, থ্যালাসেমিয়া, লিম্ফোমা, সিভিয়ার এ্যাপ্লাস্টি এ্যানিমিয়াসহ জটিল রোগের চিকিৎসা করা সম্ভব।

রক্তরোগ ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ ডা. দিলশাদ জাহান জানান, অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয় সাধারণ হেমাটোলজিক্যাল ব্লাড ক্যান্সার জাতীয় রোগের ক্ষেত্রে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বেশি হয়। আর এর বাইরে থ্যালাসেমিয়া রোগ ছাড়া অন্য কোনো ক্ষেত্রে  কিছু ক্ষেত্রে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হয়।’  রোগভেদে সর্বনিস্ন ৫ লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকার মধ্যে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বা অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন সম্ভব। যা বিদেশে চিকিৎসা ব্যয়ের চেয়ে কয়েকগুন কম। 

ডা. দিলশাদ জাহান বলেন, আমাদের দেশে অটোলকাস বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করতে গেলে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা প্রয়োজন হয়। আর যদি এলোজেনিক বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট করি তাহলে কমপক্ষে ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা প্রয়োজন হবে।  দেশে মাত্র ৫টি হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট হয়। যার মধ্যে রয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ), সিএমএইচ এবং বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতাল ও আজগর আলী হাসপাতাল। 

সরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টে খরচ কিছুটা কম।  তবে সেটাও ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা। আর বেসরকারি হাসপাতালে কমপক্ষে ১২-১৫ লাখ টাকা লাগবে। 

এ বিষয়ে ডা. দিলশাদ জাহান বলেন, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের ওষুধের দাম অনেক বেশি। বেশিরভাগ মেডিসিন দেশের বাইরে থেকে আনতে হয়। এটাই মূলত চিকিৎসা ব্যয় বাড়ার মূল কারণ।  এতো ব্যয় মেটানো বিত্তশালীদের জন্য সম্ভব হলেও চিকিৎসা সেবার বাইরে থাকছেন বেশিরভাগ রোগী। তাই সরকার যদি এক্ষেত্রে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেয়, তবে অনেক রোগী ফিরে পাবেন স্বাভাবিক জীবন। 

বাংলাদেশে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট সচরাচর না হবার কারণ সম্পর্কে এই রক্তরোগ ও বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বিশেষজ্ঞ বলেন, আমাদের দেশে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লাট করতে পারেন এমন চিকিৎসক সংখ্যা হাতেগোনা। আর যারা করেন তাদের মধ্যে বিশেষজ্ঞ খুবই কম। এছাড়া, বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্টের জন্য যেসব চিকিৎসা সরঞ্জাম দরকার তার সংখ্যাও কম। এসব কারণে রোগীরা বিদেশে যেতে বাধ্য হন। এক্ষেত্রে সরকারই এগিয়ে আসতে পারে। সরকারের উদ্যোগে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বিষয়ক সব উপকরণ আনাসহ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক তৈরিতে যথাযথ আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা।  তাহলেই যেসব হাসপাতালে বোনম্যারো ট্রান্সপ্লান্ট বিভাগ আছে তা শক্তিশালী হবে।  আর সেখানে নিয়মিত কম খরচে চিকিৎসা নিতে পারবেন রোগীরা।

আরো পড়ুন:

যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ বছরের ঊর্ধ্বদের বুস্টার ডোজের অনুমোদন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *