ডেস্ক রিপোর্ট, ধূমকেতু ডটকম: আমাজনের মাধ্যমে বিক্রীত ত্রুটিপূর্ণ পণ্য গ্রাহকের ক্ষতি করলে এক হাজার ডলার পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নিয়ম চালু করছে ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মটি।
বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন নিয়ম প্রযোজ্যের কথা রয়েছে। এতে ক্রেতারা প্ল্যাটফর্মটিতে থার্ড পার্টি মার্চেন্টদের কাছ থেকে আরও স্বচ্ছন্দে কেনাকাটা করতে পারবেন বলে মনে করছে আমাজন।
মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আমাজন জানিয়েছে, এক হাজার ডলারের কম ক্ষতিপূরণ দাবি করা হলে প্রতিষ্ঠানটি সরাসরি ওই পরিমাণ অর্থ দিয়ে বিক্রেতার কাছ থেকে তা আদায়ের চেষ্টা করবে। আর সিংহভাগ অভিযোগই হাজার ডলারের নিচে হয়ে থাকে।
তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রাহক এক হাজার ডলারের বেশি ক্ষতিপূরণ দাবি করতে পারেন। সেসব ক্ষেত্রে পণ্যের বিক্রেতা যদি সাড়া না দেন কিংবা আমাজনের কাছে সত্য মনে হলেও বিক্রেতা ক্ষতিপূরণ দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাজন ‘হয়তো’ সে অর্থ পরিশোধ করবে বলে জানিয়েছে।
বর্তমানে আমাজনের মাধ্যমে থার্ড পার্টি বিক্রেতার কাছ থেকে কেনা পণ্য সম্পর্কে অভিযোগ ওই মার্চেন্টকে জানাতে হয়। কাজটি সরাসরি আমাজনের মাধ্যমে হলে সেটা কম ঝামেলাপূর্ণ হতে পারে।
বিক্রেতা যদি অভিযোগ অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ না দেন, তবে আমাজন সেখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে গ্রাহকের অভিযোগের সমাধান করবে।
আমাজনের ভাষ্যমতে, ‘ক্রেতারা আমাজনের গ্রাহক সেবাকেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন এবং আমরা ওই বিক্রেতাকে অভিযোগটি সম্পর্কে জানিয়ে সমাধানের চেষ্টা করব। বিক্রেতা যদি অভিযোগ অনুযায়ী তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষতিপূরণ না দেন, তবে আমাজন সেখানে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে গ্রাহকের অভিযোগের সমাধান করবে। সে ক্ষেত্রে আমরা খরচ বহন করব এবং বিক্রেতার সঙ্গে আলাদাভাবে সেটির সমাধা করা হবে।’
তবে কোনো গ্রাহক যদি অনৈতিকভাবে ক্ষতিপূরণ দাবি করেন? সে ক্ষেত্রে বাইরের বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে প্রতিটি দাবি পরীক্ষা করানো হবে বলে জানিয়েছে আমাজন।
আমাজনের এ উদ্যোগে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়েরই সময়, অর্থ ও শ্রম বাঁচবে বলে জানিয়েছে তারা। আগামী মাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এ নিয়ম চালু হবে। ক্রমে অন্যান্য দেশেও তা প্রয়োগ করা হতে পারে।