প্রচ্ছদ

তিব্বত বিদ্রোহ দমনের ৬৪তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে চীন

ডেস্ক নিউজ, সুখবর ডটকম: তিব্বত বিদ্রোহের ৬৪তম বার্ষিকী গত ২৮ মার্চ উদযাপন করা হয়। ১৯৫৯ সালের ২৮ মার্চ চীনে তিব্বতিদের দমনের চেষ্টা করা হয়। এর ফলে কয়েক হাজার তিব্বতি মারা যান এবং তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।

১৯৫১ সালের ২৩ মে, চীন-তিব্বত চুক্তির সমাপ্তি তিব্বতের জন্য বিশেষ মর্যাদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু এ প্রতিশ্রুতি শুধুমাত্র প্রতিশ্রুতি হিসেবেই থেকে যায়। তিব্বত মুক্তির দাবির সাথে চীন দিনটিকে ক্রীতদাসদের মুক্তি দিবস হিসেবে চিহ্নিত করে।

১৯৫৯ সালের ১০ মার্চ, তিব্বত বিদ্রোহের সূচনা হয়। সারাবিশ্বে এ দিনটি তিব্বত বিদ্রোহ দিবস নামে পরিচিত। কিন্তু নিরাপত্তা ব্যবস্থার অধীনে থাকার কারণে তিব্বতেই এ দিনটি পালন করা সম্ভব হয় না।

২০০৯ সাল থেকে চীন ২৮ মার্চ উদযাপন করা শুরু করেছে।

এর এক বছর আগে তিব্বত বিদ্রোহ তিব্বত মালভূমির বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। সেসময় বহির্বিশ্ব থেকে তিব্বতকে আলাদা করে দেয় চীন এবং চীনের সামরিক বাহিনির সহিংসতার ফলে হাজার হাজার তিব্বতির মৃত্যু, গ্রেপ্তার এবং নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। আশ্চর্যজনক হলেও সত্য যে এই পরিস্থিতি এখনো তিব্বতে বিরাজমান।

তিব্বতের রাজধানী লাসার পোতালা প্যালেস স্কোয়ারে পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ২৮ মার্চের উদযাপন শুরু করে চীন। তারপর শহরের বিভিন্ন জায়গা শিল্প ও সাংস্কৃতিক উৎসব পালিত হয়।

তিব্বতের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সর্বস্তরের মানুষ দিনটিকে দাসত্ব থেকে মুক্তির দিন হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন ধরনের কার্যক্রমের আয়োজন করে।

২৮ মার্চ সম্পর্কে বলতে গিয়ে চীনের সাউথ ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অফ পলিটিক্যাল সায়েন্স এন্ড ল এর অধ্যাপক ঝু ইংকে জানান, বর্তমানে জিয়াং ( তিব্বতের চীনা নাম) এর পরিস্থিতির অনেক পরিবর্তন ঘটেছে। এখানে চীনা বিরোধী কার্যক্রমের কোন জায়গা নেই। মানবাধিকার রক্ষার অজুহাতে চীনের বিরুদ্ধে যাওয়ার যে চেষ্টা চলছিল তা এখন ব্যর্থ।

এমএইচডি/ আই. কে. জে /

আরো পড়ুন:

ব্রিটেনে স্বীকৃতি পাচ্ছে আফ্রিকার ফ্যাশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *