আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, আফগানিস্তানে তালেবানের হাতে যে বিপুল মার্কিন অস্ত্র চলে গেছে, তা ফেরত দিতে হবে; অন্যথায় সেগুলোর জন্য মূল্য পরিশোধ করতে হবে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে রিপাবলিকান দল থেকে নির্বাচিত সাবেক এই প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকার ইতিহাসে এত বিশ্রিভাবে কিংবা অদক্ষতার সঙ্গে কোনো দেশ থেকে সেনা প্রত্যাহার করা হয়নি। খবর দ্যা হিলের।
একই সঙ্গে আফগানিস্তানে যত অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তালেবানের হাতে পড়েছে তার সবই ফেরত আনার দাবি জানাতে হবে।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, তালেবান যদি এসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম ফেরত দিতে অস্বীকার করে তা হলে প্রয়োজনে তাদের বিরুদ্ধে আবার যুদ্ধ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যদি তালেবানের কাছ থেকে অস্ত্র ফেরত না আনা যায় তাহলে সরাসরি সামরিক বাহিনী পাঠিয়ে বোমা মেরে তাদের উড়িয়ে দিতে হবে।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো সেনাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে, দেশটির সামরিক বাহিনীকে তালেবানবিরোধী লড়াইয়ে দক্ষ বাহিনী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য আমেরিকা আফগানিস্তানকে সাড়ে আট হাজার কোটি ডলারের অস্ত্র দিয়েছিল।
দেশটি থেকে আকস্মিকভাবে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের ফলে সেসব অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম তালেবানের হাতে চলে যাওয়ায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন।
কাবুলের হামিদ কারজাই বিমানবন্দর ত্যাগের আগে ৩০ আগস্ট সেখানে থাকা অত্যাধ্যুনিক প্রযুক্তির ৭৩টি সামবিক বিমান মার্কিন বাহিনী এমনভাবে নষ্ট করে রেখে আসে যাতে তালেবানরা আর এগুলো ব্যবহার করতে না পারে।
মার্কিন সামরিক বাহিনীর জেনারেল কেনেথ ম্যাকেঞ্জি জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরের নিরাপত্তার জন্য যে সব সর্বাধুনিক প্রযুক্তির আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা মোতায়েন করা ছিল- সামরিক বিমানগুলোর মতো সেগুলোও নষ্ট করে ফেলা হয়েছে।
কেনেথ ম্যাকেঞ্জি আরও বলন, ফেলে রেখে আসা মার্কিন সামরিক বিমানগুলো আর কখনও আকাশে উড়বে না।
এ ছাড়া ও ৭০টি সামরিক সামরিক যান এবং ২৭টি হামরি টহল যান নষ্ট করা হয়েছে, যার প্রতিটির মূল্য এক মিলিয়ন ডলার।
/জেড এইচ