বেশ কয়েকদিন ধরে চলে আসা তীব্র লড়াই শেষে তালেবান পাঞ্জশির ‘সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে’ নিয়েছে ।
আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।
তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ এক বিবৃতিতে বলেন, এই বিজয়ের মাধ্যমে আমাদের দেশকে পুরোপুরি যুদ্ধের জলাভূমি থেকে বের করে আনা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ছবিতে দেখা যায়, তালেবানের সদস্যরা পাঞ্জশির প্রদেশের গভর্নরের বাসভবনের গেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের নেতা আহমেদ মাসুদের কোনো প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
এর আগে আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির প্রদেশের নিয়ন্ত্রণকারী জাতীয় প্রতিরোধ ফ্রন্টের কমান্ডার আহমেদ মাসুদ যুদ্ধবিরতির ব্যাপারে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু তালেবান তা নাকচ করে দেয়।
১৫ আগস্ট তালেবান কাবুলের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এসময় পাঞ্জশির ছাড়া ৩৪টি প্রদেশের ৩৩টির নিয়ন্ত্রণ ছিল গোষ্ঠীটির হাতে। এবার পুরো দেশ নিয়ন্ত্রণে নিতে সক্ষম হলো তালেবান।
আফগানিস্তানের সাম্প্রতিক উত্তাল ইতিহাসে নাটকীয় ও চাপিয়ে দেওয়া পাঞ্জশির উপত্যকাটি প্রথমবারের মতো তালেবান মোকাবিলা করেনি। ১৯৮০ এর দশকে সোভিয়েত বাহিনীর বিরুদ্ধে এবং ৯০ এর দশকে তালেবানদের বিরুদ্ধে এটি একটি শক্ত ঘাঁটি ছিল।
ন্যাশনাল রেসিসটেন্স ফ্রন্ট অব আফগানিস্তান (এনআরএফ) সম্প্রতি বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছে তারা এ উপত্যকাটিতে শক্তিশালী।
এনআরএফের পররাষ্ট্র শাখার প্রধান আলি নাজারি বিবিসিকে বলেছিলেন, রেড আর্মি (সোভিয়েত) আমাদের পরাজিত করতে পারেনি এবং ২৫ বছর আগে তালেবান এ উপত্যকাটি দখল করার চেষ্টা করেছিল এবং তারা ব্যর্থ হয়েছে।
কিন্তু ‘অপরাজিত’ পাঞ্জশির নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তালেবান বুঝিয়ে দিল, তারা ‘অপ্রতিরোধ্য’।
/জেড এইচ