আইন আদালত

তারেক-জোবায়দার বিষয়ে যে সিদ্ধান্ত দিলেন আদালত

অবৈধ সম্পদ অর্জন ও তথ্য গোপনের মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জোবায়দা রহমান পলাতক থাকায় তাদের মামলা চলবে বলে জানিয়েছেন হাইকোর্ট।

রোববার (১৬ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।

হাইকোর্ট জানান, তারেক-জোবায়দা দম্পতি পলাতক থাকায় তাদের রিট আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়। একই সঙ্গে বিচারিক আদালতে মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের অবৈধ সম্পদ ও তথ্য গোপনের অভিযোগে তারেক রহমান, জোবায়দা রহমান ও শাশুড়ি ইকবাল মান্দ বানুকে আসামি করে মামলা করা হয়। পরে তারেক রহমান ও তার স্ত্রী মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পৃথক রিট দায়ের করেন।

এদিকে একই মামলায় আরেকটি রিট আবেদন করেন জোবায়দা। ওই সময় মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেছিলেন হাইকোর্ট। ওই রুলের শুনানি শেষে ২০১৭ সালে মামলা বাতিলে জারি করা রুল খারিজ করে রায় দেন। একই সঙ্গে জোবায়দাকে আট সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন জোবায়দা। গত ১৩ এপ্রিল আপিল বিভাগ জোবায়দার এ আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। রায়ে জোবাইদাকে পলাতক ঘোষণা করা হয়। পলাতক বলে তাদের পক্ষে আইনজীবী শুনানি করতে পারেন না।

অন্যদিকে তারেক রহমানের মামলার বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলও আজ খারিজ দিয়েছেন হাইকোর্ট। তারেক রহমান পলাতক থাকায় রিট গ্রহণযোগ্য নয় বলে রুল খারিজ করে দেওয়া হয়।

এর আগে ৫ জুনের এ মামলার শুনানিতে দুদক আইনজীবী বলেছিলেন, তারেক রহমান তিন মামলায় দণ্ড মাথায় নিয়ে পলাতক আছেন। সুতরাং এই পলাতকদের পক্ষে আইনজীবী মামলায় লড়তে পারেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *