কৃষি-মৎস্য

তরমুজ চাষিদের মুখে হাসি : প্রত্যাশার চেয়েও এবার লাভ অনেক বেশি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: এবার ব্যাপক খুশি বরগুনার আমতলী উপজেলার তরমুজচাষিরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকা, প্রচণ্ড দাবদাহ ও পরিবহনসংকট না থাকায় ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করেছেন তারা। করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনে সারা দেশের মানুষের আনন্দ অম্লান হলেও তরমুজচাষিরা বেশ খুশি। গত বছরের তুলনায় এবার তরমুজ বিক্রি করে চার-পাঁচ গুণ বেশি লাভবান হয়েছেন চাষিরা।

৫ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রথম লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। লকডাউন ঘোষণায় তিন দিন তরমুজ ব্যবসায় ধস নেমে অর্ধেকে আসে তরমুজের মূল্য। কিন্তু প্রচণ্ড দাবদাহ, অনুকূল আবহাওয়া ও পণ্য পরিবহনসংকট না থাকায় তিন দিন পরেই ঘুরে দাঁড়ায় তরমুজের বাজার। ব্যবসায়ী ও চাষিরা আবার লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। বর্তমান লকডাউনে তরমুজচাষি ও ব্যবসায়ীদের ওপর কোনো প্রভাব ফেলছে না। উল্টো ঘুরে দাঁড়িয়েছেন তরমুজের বাজার। ১০০ টাকার তরমুজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায় । তরমুজের দাম আরও বৃদ্ধি পেয়েছে রমজান মাস শুরু হওয়ায় ।

গতকাল আমতলী বাঁধঘাট চৌরাস্তা, একে স্কুল ও গাজীপুর বন্দরের তরমুজ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, লকডাউনের মধ্যে বাজারে বেশ ক্রেতা রয়েছেন। মাঝারি ধরনের একটি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩৫০ টাকায়। বড় ধরনের তরমুজ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে; যা গত বছরের তুলনায় কয়েক গুণ।
আমতলী পশ্চিম সোনাখালী গ্রামের চাষি মাহবুব মাতবর বলেন, “১০ বছর ধরে তরমুজের চাষ করি। এ বছরের মতো এত দামে কোনো বছর তরমুজ বিক্রি করতে পারিনি। তিন লাখ টাকা ব্যয়ে ১২ একর জমিতে তরমুজের চাষ করেছিলাম। ওই জমির তরমুজ ১২ লাখ টাকা বিক্রি করেছি।” তিনি আরও বলেন, “প্রচণ্ড দাবদাহ, লকডাউনের মধ্যে তরমুজ পরিবহনে সংকট না থাকায় এত ভালো দামে তরমুজ বিক্রি করতে পেরেছি।”

চাষি আমিনুর রহমান বলেন, “২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে তরমুজ চাষ করে আশা করেছিলাম ১০ লাখ টাকায় বিক্রি করব। ওই তরমুজ ১১ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিক্রি করেছি।”

“তিনজনে যৌথভাবে ৩৬ একর জমিতে তরমুজ চাষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ১০ লাখ টাকা। ফলন ও ভালো দাম পাওয়ায় ৩১ লাখ টাকা বিক্রি করেছি। এ বছর লকডাউনে তরমুজচাষিদের ভাগ্য বদলে দিয়েছে।” বললেন, চুনাখালী গ্রামের ওহাব মৃধা, বাহাউদ্দিন হাওলাদার ও রাজ্জাক মৃধা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *