প্রচ্ছদ

ঢালিউড এবার জমে উঠলো বছর শেষে

ঢালিউড এবার জমে উঠলো বছর শেষে

ঢালিউড এবার জমে উঠলো বছর শেষে: প্রায় দুই বছর ধরে স্থবির চলচ্চিত্রাঙ্গন। অনেকগুলো বড় বাজেটের ছবি তৈরি থাকলেও মুক্তি পায়নি। করোনা যেন অনেককিছুই স্তব্ধ করে দিয়েছিলো! এখন করোনার প্রকোপ কমেছে। বেশির ভাগ সিনেমা হল খুলেছে। মানুষ আবার সিনেমা হলমুখী হয়েছে। সিনেমার আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও সুনাম কুড়িয়েছে বাংলাদেশ। মুক্তি পাচ্ছে বড় বাজেটের ছবিগুলো। বছর শেষে তাই জমে উঠতে শুরু করেছে ঢালিউড।

গতকাল মুক্তি পেয়েছে নূরুল আলম আতিকের লাল মোরগের ঝুঁটি। ১১ বছর কেটে যাবার পর ডুবসাঁতার সিনেমার পর নির্মাতার পরের ছবি মুক্তি পেলো। আধিয়ার ছবি বানিয়েছিলেন প্রয়াত নির্মাতা সাইদুল আনাম টুটুল। তাঁর শেষ ছবি কালবেলা মুক্তি পেল গতকাল। দুটো ছবি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ছবি গুলো ভালো হয়েছে বলেই জানা যাচ্ছে।

৩ ডিসেম্বর ৫০টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে সানি সানোয়ার ও ফয়সাল আহমেদের মিশন এক্সট্রিম। ছবিটি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে বন্ধ থাকা প্রায় ২০টি সিনেমা হল খুলেছে।

ছবিটি নিয়ে আশাবাদী প্রেক্ষাগৃহের মালিকেরা। দর্শকেরও আগ্রহ দেখা গেছে। ডিসেম্বর মাসে প্রায় প্রতি সপ্তাহেই ছবি মুক্তি পাচ্ছে। ২৪ ডিসেম্বর মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের স্বপ্নে দেখা রাজকন্যা এবং অঞ্জন আইচের আগামীকাল মুক্তি পাবে। বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে মীর সাব্বিরের রাত জাগা ফুল।

গলুই ছবিটি মুক্তির কথাও ভাবছেন পরিচালক এস এ হক অলিক। যদিও এখনো মুক্তির তারিখ ঠিক হয়নি, তবে ডিসেম্বরে মুক্তি পাবে রনি ভৌমিকের মৃধা বনাম মৃধা ছবিটি।

ধারাবাহিকভাবে ছবি মুক্তিতে আশার আলো দেখছেন হলমালিকেরা। মিশন এক্সট্রিম ছবিটি দেখানো হচ্ছে রাজধানীর মধুমিতা হলে।

ঢালিউড এবার জমে উঠলো বছর শেষে
লাল মোরগের ঝুঁটি

এর মালিক ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বলেন, ‘অনেক দিন পর হলে ভালো দর্শক পেলাম। আমার কাছে মনে হয় ভালো ছবি মুক্তি পেলে দর্শক আসবেই। এতে সিনেমা বাঁচবে, হলও বাঁচবে। সামনে বেশ কিছু বড় বাজেটের ছবি মুক্তির তালিকায় আছে। ছবিগুলো একের পর এক মুক্তি পেলে দর্শকের হলে আসার অভ্যাস তৈরি হবে।’ সব মিলিয়ে চলচিত্রের জায়গাটি আবার আগের রূপ ফায়ার পাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে চলচিত্র নির্মাতাদের।

ম রাহিমের শান ছবির ট্রেলার প্রকাশ পেলো গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায়। এ ছবির প্রযোজক বলেন, ‘মিশন এক্সট্রিম-এর মতো বড় বাজেটের ছবি ক্রমাগত মুক্তি পেলে সিনেমা ঘুরে দাঁড়াতে পারে। আমার কাছে মনে হয়, সিনেমা হলের দর্শক কোনো কালেই হারাবে না। অনেক দিন দর্শকেরা সিনেমা হলে যেতে পারেননি। তাঁরা অপেক্ষা করছিলেন। এখন দর্শকের দেখার মতো ছবি নিয়মিত মুক্তি পাওয়া দরকার। বছরে বড় বাজেটের ভালো দশটা ছবি মুক্তি পেলেই ঢাকার চলচ্চিত্রের জন্য আর কিছু লাগবে না।’

এ ছাড়া আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তির তারিখ নিশ্চিত হয়েছে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের পাপ পুণ্য। তারপর সামনে আসছে দীপঙ্কর দীপনের অপারেশন সুন্দরবন, আবু রায়হান জুয়েলের অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবনসহ আরও কিছু ছবি।

শান, অপারেশন সুন্দরবন, মৃধা বনাম মৃধা ও অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন ছবিগুলোতে অভিনয় করেছেন সিয়াম আহমেদ। তিনি বলেন, ‘সিনেমা হলে দর্শক আসা শুরু করেছে, এটি সিনেমার জন্য খুশির সংবাদ। এখন আমাদের কাজ হবে দর্শককে ধরে রাখার মতো ছবি বানানো এবং মুক্তি দেওয়া। দীর্ঘ মন্দা কাটিয়ে ঢাকার চলচ্চিত্রের নতুন যাত্রার একটা আভাস পাচ্ছি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *