উন্নয়ন

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে ২০২২ সালেই উন্মুক্ত হতে পারে

নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু বাংলা: এ পর্যন্ত ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ধাপের নির্মাণকাজের অগ্রগতি হয়েছে প্রায় ৭৭ শতাংশ। প্রথম ধাপ সম্পূর্ণ এবং দ্বিতীয় ধাপের একাংশের নির্মাণকাজ সম্পন্ন করে রাজধানীর কাওলা থেকে তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ে ২০২২ সালের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টরা কাজ করে যাচ্ছে।

মেগা প্রকল্প পরিদর্শন কার্যক্রমের আওতায় শনিবার (১৩ নভেম্বর) তথ্য অধিদফতরের কর্মকর্তারা রাজধানীর কাওলায় ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। প্রকল্পের কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ড ও ভৌত অবকাঠামো পরিদর্শন শেষে এক ব্রিফিংয়ে প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার এসব কথা জানান।

অতিরিক্ত প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (প্রোটকল ও মনিটরিং) ফায়জুল হকের নেতৃত্বে অধিদফতরের কর্মকর্তারা এ কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এক সরকারি তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়েছে।

ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা যায়, রাজধানীর কাওলা এলাকা থেকে বনানী পর্যন্ত বেশিরভাগ অংশেই দৃশ্যমান হয়েছে। র‍্যাম্পসহ মোট ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার দৈর্ঘের এক্সপ্রেস হাইওয়ের প্রথম ধাপের পাইলের কাজ শতভাগ শেষ হয়েছে। কলাম, ক্রসবিম ও পাইলক্যাপ নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং আই গার্ডার নির্মাণ ও বসানোর কাজ পুরোদমে চলমান রয়েছে।

পরিদর্শনকালে প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী ড. মাহমুদুর রহমান জানান, কাজে গতি আনতে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো এ প্রকল্পেই আই গার্ডার প্রি-টেনশনিং ও ডেক প্যানেল প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে।

দ্বিতীয় ধাপের বনানী রেলস্টেশন থেকে মগবাজার পর্যন্ত নির্মাণকাজও পুরোদমে শুরু হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, দ্বিতীয় ধাপের কাজের ভৌত অগ্রগতি প্রায় ২৫ শতাংশ। এছাড়া তৃতীয় ধাপে মগবাজার থেকে চিটাগাং রোডের কুতুবখালী পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়ের কাজও আগামী বছর থেকে শুরু হবে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকার উত্তর ও দক্ষিণ অংশের মধ্যে সংযোগ সহজ হবে এবং ট্রাফিক ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির ফলে যানজটও অনেক কমবে। এছাড়া যোগাযোগ ব্যয় ও সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি এ পথে ভ্রমণ অন্য সড়কের তুলনায় আরামদায়ক হবে। এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে এটি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা ব্যয়ে বাস্তবায়নাধীন এ পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ প্রকল্পে মোট খরচের মাত্র ২৭ শতাংশ সরকার বহন করবে এবং বাকিটা বিদেশি বিনিয়োগ হিসেবে আসবে।

চলমান কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী ২০২৩ সালের জুন মাস নাগাদ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হবে বলে তথ্য বিবরণীতে জানানো হয়েছে।

আরো পড়ুন:

২০২২ সালের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে : ওবায়দুল কাদের

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *