নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের সাত কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, পর্যায়ক্রমে দেশের ১৭ কোটি মানুষকে টিকার আওয়তায় আনা হবে। যত টাকা প্রয়োজন হোক না কেন, সবাইকে টিকার আওতায় আনার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাহিদ মালেক এসব কথা বলেন। মানিকগঞ্জ শহরের শহীদ মিরাজ–তপন স্টেডিয়ামে আজ শনিবার ওই আলোচনা সভা হয়।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কৌরাইশী ওরফে সুমনের সভাপতিত্বে ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন- সাংসদ এ এম নাঈমুর রহমান, সাংসদ মমতাজ বেগম, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম, সহসভাপতি আবদুল মজিদ, পৌর মেয়র মো. রমজান আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ভাস্কর সাহা প্রমুখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, গ্রামে করোনায় আক্রান্তের হার বেশি হওয়ায় গ্রামে বেশি টিকার দেওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। গ্রামের মানুষ টিকা কম পেয়েছে। সেখানে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। পঞ্চাশোর্ধ্ব লোকের মৃত্যু প্রায় ৯০ শতাংশ।
সবাইকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আগে বয়স্ক ব্যক্তিদের টিকা দিতে হবে। তাদের সুরক্ষিত করতে হবে। এরপর পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেয়া হবে। ইতিমধ্যে পৌনে দুই কোটি টিকা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যত টাকার প্রয়োজন হোক না কেন দেশের প্রতিটি মানুষের টিকাদান নিশ্চিত করা হবে।
জাহিদ মালেক বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য একটি ল্যাব দিয়ে যাত্রা শুরু করা হয়েছিল। দেশে এখন ৭৫০টি ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া দেশে এখন ১১০টি হাসপাতালে সেন্টাল অক্সিজেনেরও ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। করোনায় যেসব মানুষ ও বিভিন্ন সেক্টর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সরকার তাদের আর্থিক সহায়তাসহ বিভিন্ন সহায়তাও দিচ্ছে।
করোনায় সচেতনতা সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা যতই টিকা নিই না কেন, মাস্ক পরতেই হবে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।’
চিকিৎসক ও নার্সদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মহানগরী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। তাদের দিকেও নজর দিয়ে যথাযথ চিকিৎসাসেবা দিতে হবে।