নিজস্ব প্রতিবেদক, ধূমকেতু ডটকম: দেশব্যাপী ডিজিটাল সংযোগ আরো গতিশীল ও সুদৃঢ় করতে বিটিসিএল ও গ্রামীণফোনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির অধীনে দেশব্যাপী বিটিসিএল এর অপটিক্যাল ফাইবার সংযোগ ও বিটিসিএল টাওয়ারসমূহ গ্রামীণফোন শেয়ার করবে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের উপস্থিতিতে সোমবার ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অগ্রযাত্রায় এটি একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সারাদেশে বিদ্যমান বিটিসিএল এর অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক ও টাওয়ার সেবা গ্রহণের মাধ্যমে গ্রামীণফোন তাদের গ্রাহকদের উন্নত সেবা প্রদানের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির অগ্রযাত্রাকে আরো বেগবান করবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা টিএন্ডটি বোর্ড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশের বীজ বপন করে গেছেন। বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া টিএন্ডটি (বর্তমান বিটিসিএল) বোর্ডের দেশব্যাপী সুবিস্তৃত ডিজিটাল অবকাঠামো সময়োপযোগী কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
মোস্তাফা জব্বার করোনাকালে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা প্রদানের মাধ্যমে দেশের মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখায় টেলিযোগাযোগ খাতের অবদান তুলে ধরে বলেন, সরকারি টেলিকম প্রতিষ্ঠানসমূহের পাশাপাশি দেশের অন্য মোবাইল অপারেটরসমূহ অবিস্মরণীয় দায়িত্ব পালন করেছে। তৃণমূল মানুষের ইন্টারনেট পরিষেবা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী ফোর-জি নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণে তারা সরকারের নির্দেশনা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে পালন করেছে। দেশের কোন কোন মোবাইল অপারেটর টুজি ও থ্রিজি থেকে শতভাগ বিটিএস ফোরজি নেটওয়ার্কের আওতায় এনেছে। এর ফলে তৃণমূলের প্রথম শ্রেণির শিশুটিও তার চাহিত ইন্টারনেট সেবা পাচ্ছে, অনলাইনে ক্লাস করছে। সবজি ও ফল বিক্রেতা থেকে শুরু করে গরু বিক্রেতা পর্যন্ত ডিজিটাল প্রযুক্তির সুবিধা ভোগ করছেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ফোরজি নেটওয়ার্ক চালু করে একই বছর প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দিকনির্দেশনায় ফাইভজি প্রযুক্তির পরীক্ষা সম্পন্ন করেছি। ফাইভজি চালুর মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সুপার হাইওয়ে নির্মাণের দ্বারপ্রান্তে। টেলিকম খাতের এই অগ্রগতি দেশকে এক অভাবনীয় অগ্রগতির শিখরে উন্নীত করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান শ্যামসুন্দর সিকদার, বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিন এবং গ্রামীণফোনের সিইও ইয়াসির আজমান বক্তৃতা করেন।