প্রচ্ছদ

ডিজিটাল ডিভাইসের বাজারও বাংলাদেশের দখলে

ধূমকেতু রিপোর্ট : সরকারের উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ডিভাইসের বাজারও বাংলাদেশের দখলে থাকবে। শনিবার (১২ জানুয়ারি ) ঢাকায় একটি গোলটেবিল অনুষ্ঠানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ কথা জানান।

তিনি বলেন, প্রযুক্তি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ভিত্তি হিসেবে কাজ করে। আমাদের বড় সম্পদ
হচ্ছে মেধা। দেশের ৬৫ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে উপযোগী করে গড়ে তোলার মাধ্যমে
বাংলাদেশ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্বের জন্য প্রস্তুত।

এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন
গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এমন এক অবস্থানে উপনীত হবে যা অবাক বিস্ময়ে
পৃথিবী দেখবে।

ঢাকায় ব্রাক ইন মিলনায়তনে আইটি প্রতিষ্ঠান ইজেনারেশন আয়োজিত
‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব – আমরা কি প্রস্তুত ’? শীর্ষক গোলটেবিল সেশনে
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বিগত দশ বছরে আইসিটিসহ বিভিন্ন সূচকের
আকাশচুম্বি অগ্রগতির বর্ণনা দিয়ে বলেন,প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শিল্প
বিপ্লব মিস করলেও বাংলাদেশে চতুর্থ শিল্প ভালভাবে শুরু হয়েছে।

ভোক্তা এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসমূহ এআই, আইওটি, ব্লকচেইন এবং ডাটা অ্যানালাইটিক্স
প্রযুক্তি গ্রহণ করছে। উন্নত অর্থনীতির বাংলাদেশের দিকে অগ্রযাত্রায়
চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উন্নয়নের ধাপগুলোকে দ্রুত গতিতে টপকে যাবার সুযোগ
সৃষ্টি করেছে।

তিনি বলেন, ২০০৮ থেকে ২০১৯ এর সূচক তুলনা করা কঠিন।
২০০৮ সালে দেশে ৭ দশমিক ৫ জিবিপিএস ইন্টারনেট ব্যবহৃত হতো। ২০১৮ সালে তা ৯০০ জিবিপিএস অতিক্রম করেছে।

ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ৪০ লাখ থেকে সাড়ে আট কোটিতে উন্নীত হয়েছে। পৃথিবীর কোন দেশে ডিজিটাল ইউনিয়ন সেন্টার আমাদের আগে তৈরি হয়নি। ইতোমধ্যে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যুগান্তকারী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।

এখাতে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ সমূহের মধ্যে শিক্ষা ব্যবস্থা, সাইবার নিরাপত্তা এবং কাগজবিহীন ব্যবস্থা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, শিক্ষার ডিজিটাল রূপান্তরের লক্ষ্যে প্রাথমিক স্তর থেকে
প্রযুক্তি শিক্ষা বাস্তবায়নের বিকল্প নেই।

প্রাথমিক স্তর থেকে তথ্যপ্রযুক্তি বাধ্যবাধকতার জায়গায় যেতে চাই। তিনি ডিজিটাল ডিভাইস
উৎপাদনের বাংলাদেশের সফলতা তুলে ধরে বলেন, গত চার মাসে দেশে ৬টি
ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করা হয়েছে।

আগামী দু‘মাসের মধ্যে দেশে মাদারবোর্ড তৈরি হবে। এসবেরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটাল ডিভাইসের বাজারও বাংলাদেশের দখলে থাকবে।

অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিও সাবেক সভাপতি আব্দুল্লাহ এইচ কাফি, ডিসিসিআই সভাপতি
ওসামা তাসির, এটুআই প্রকল্প পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান এবং ইনজেনারেশন
ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন পরিচালক মুশফিকুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *